বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬২ প্রভাস খণ্ড । শুক পক্ষ হোতে। বাঞ্ছন হুইয়া চাহ চন্দ্রকে ধরিতে । যাহ যাহ কাঙ্কালিনী না কর এ আশ । বিপদে পণ্ডিবে বড় হইলে প্রকাশ ॥ এ তবলি ধাক্ক দিয়া ফেলে যশোদারে। গোপাল বলিয়। রাণী কন্দে উচ্চৈঃস্বরে। নন্দ বলে বলেছি যে তোমাবে তখন । মিছে কেন এত দূরে আইলে এখন ॥ কৃষ্ণ ধন যদি তব হইত নন্দন। অবশ্য আসিয়া দেখা দিত এইক্ষণ ॥ কংসেরে করিয়া বধ হয়েছে নৃপতি । সে ভাব কৃষ্ণের আর নাহিক সংপ্ৰতি ॥ মিছে কেন তবে মোরা কৃষ্ণু কৃষ্ণ বলি । চল চল বৃন্দাবনে ঘাই মোর। চলি ৷ যশোদা বলেন শুন ওহে গোপপতি । কি লইয়া বৃন্দাবনে যাইব সংপ্রতি। যদ্যপি নিষ্ঠর মোরে হইল নন্দন। তবে আর এদেহেতে কিবা প্রয়োজন ॥ যমুনার জীবনেতে ডুবিব এখনি ৷ পর জন্মে গোপালের হইব জননী ॥ যাহ যাহ গোপরাজ মাহ বৃন্দাবন । আমার অপেক্ষ আর না কর এখন ॥ এত বলি করাঘাত হানি বক্ষঃস্থলে । ধরণী লোটায় রাণী পড়ি ভূমিতলে ৷ গোপাল গোপাল বলি ডাকে ঘনে ঘন । অন্তর জামিনী কৃষ্ণ জনিলা তখন বলরাম প্রতি কৃষ্ণ ইশারায় কন । বলে দাদ। সৰ্ব্বনাশ হয়েছে এখন ॥ দ্বারে কান্দে মী যশোদা কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলে। দ্বারিগণ দ্বার নাহি ছাড়ে গো সকলে ॥ এত বলি তুই ভাই উত্তরে তখন । অপরাধ ক্ষম বলি ধরিল চরণ ॥