বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস যজ্ঞ। ২৩ বাহন ॥ তংহি হরি পূর্ণব্রহ্ম গোলকের পতি । কে জানে তোমার অন্ত ওহে লক্ষীপতি ॥ এই রূপ নানাবিধ করিয়া স্তবন। দৈবকীর উদর তবে করিল পূজন ॥ চন্দনাদি গন্ধ পুষ্প ধুপ দীপ দিয়া । পূজিল উদর তার যতন করিয়া ॥ গন্ধ পুষ্প দিযা সবে পূজিয়া উদর । আদর্শন হইলেন যতেক অমর ॥ দৈবকী সিহরে উঠে করিয়া রোদন । বসুদেব উঠি তবে জিজ্ঞাসে কারণ ॥ দৈবকী বলেন নাথ শুনহ বচন। রজনীতে দেখিলাম অতি কুস্বপন ॥ দেবগণ আসি যেন কর জোড় করে । গন্ধ চন্দনেতে পূজে আমার উদরে ৷ নানামত স্তব যেন করিয়া অামায় । নিদ্রা ভক্ষ হৈল আর না দেখি তাহtয় ॥ শুনিয়া সিহরি বস্তুদেব কহে বাণী। এতদিনে প্রসন্ন হইলা চিন্তামণি ॥ বুঝি প্রভু আবির্ভাব তোমার উদরে । এইবার আমাদের দুঃখ যাবে দূরে । হরি হরি স্মরি বস্তু করেন রোদন। দেখিতে দেখিতে নিশি প্রভাত তখন ॥ প্রভাতেতে দৈবকী যে হেরে সৰ্ব্বজন । রূপ হইয়াছে তার সোণার বরণ ॥ সেনাগণে জানাইল কংসেব সদন । অবধান নরপতি করি নিবেদন ॥ শুন শুন মহারাজ নিবেদন করি। দৈবকী রূপেতে হৈল পরম সুন্দরী ॥ নিকটেতে যাইতে তার শঙ্কা হয় মনে । আপনি এবারে রাজা দেখহে নয়নে ॥ অনুচর বাক্য শুনি কংস নরপতি । ভগ্নীর নিকটে তবে আইল শীঘ্ৰগতি ॥ ৰূপ দেখি মোহ যায় কংস নৃপবর। শঙ্কান্বিত হইল তা