চতুর্দশ পরিচ্ছেদ SS সেত জানি নে বাবা। আচ্ছা, আজই আমি লোক পাঠিয়ে খবর নিচ্চি। চরণ খুদি হইল। সেই দিনই বৃন্দাবন অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়, চরণকে আসিয়া লইয়া যাইবার জন্ত কেশবকুে চিঠি লিখিয়া দিল। গ্রামের ভীষণ অবস্থাও সেই পত্রে লিথিয় জানাইল । মায়ের শ্রাদ্ধের আর দুই দিন বাকি আছে, সকালে বৃন্দাবন চণ্ডীমণ্ডপে কাজে ব্যস্ত ছিল, খবর পাইল, ভিতরে চরণের ভেদ-বমি হইতেছে। ছুটিয়া গিয়া দেখিল, সে নিজীবের মত বিছানায় গুইয়া পড়িয়াছে এবং তাহার ভেদবমির চেহারায় বিস্তুচিকা মূৰ্ত্তি ধরিয়া রহিয়াছে। বৃন্দাবনের চোখের সুমুখে সমস্ত জগৎ নিবিড় অন্ধকারে ঢাকিয় গেল, হাত-পা দুমূড়াইয়া ভাঙিয়া পড়িল, একবার কেশবকে খবর দাও ; বলিয়া সে সন্তানের শয্যার নিচে মড়ার মত গুইয়। পড়িল । ঘণ্টা-খানেক পরে গোপাল ডাক্তারের বসিবার ঘরে বৃন্দাবন তাঙ্গার পা দুটো আকুলভাবে চাপিয়া ধরিয়া বলিল, দয়া করুন ভাক্তারবাবু, ছেলেটিকে বাচান ! আমার অপরাধ যতই হয়ে থাকৃ, কিন্তু সে নির্দোষ । অতি শিশু, ডাক্তারবাবু—একবা পায়ের ধূলা নি, একবার তাকে দেখুন। তার কষ্ট দেখলে আপনারও মায়া হবে! . • গোপাল বিকৃত মুখ নাড়া দিয়া বলিলেন, তখন মনে ছিল না যে, তারিণী মুখুয্যে এই ডাক্তারবাবুরই মামা ? ছোটলোক হয়ে পয়সার জোরে ব্রাহ্মণকে অপমানু! সে সময়ে মনে হয় নি, এই পা দুটোই মাথায় ধরতে হবে! 'বৃন্দাবন কাদিয়া কহিল, আপনি ব্রাহ্মণ, অশনার পা ছুঁয়ে বলুচি, তারিণী ঠাকুরকে আমি কিছুমাত্র অপমান করি নি ; য। তাকে নিষেধ করেছিলাম, সমস্ত গ্রামের ভালর জন্যই করেছিলাম । আপনি ডাক্তার, আপনি ত জানেন, এ সময় খাবার জল নষ্ট করা কি ভয়ানফ অন্যায় !