কি আর বুঝাও ধরম করম,
মন স্বতন্তর নয়,
কুলবতী হৈয়া, কুলে দাঁড়াইয়া,
মোর মত কেবা হয়।
গুরু পরিজন, বলে কুবচন,
সে বাসি চন্দন চুয়া,
কানু-অনুরাগে এদেহ সঁপেছি,
তিল-তুলসী দিয়া।
পরশী দুর্জ্জন বলে কুবচন,
আমি না যাব তাদের পাড়া,
কহে চণ্ডীদাস কানুর পীরিতি
জাতি-কুল-শীল ছাড়া।”
কানুই আমার জাতি, কুল ও শীল, আমি অন্য জাতি মানি না, আমার শীল (আচার)ও তিনি। আমার হৃদয়ে তিনি হৃদয়ের বিগ্রহ, পলকে পলকে আমি তাঁহাকে হারাই—নিরবধি একই চিন্তা। তোমরা কুলে আছ, নিজ নিজ স্বামীকে যথেচ্ছা ভজনা কর, কিন্তু গার্হস্থ্যসুখ আমার কপালে নাই। আমি ভাবিয়া দেখিয়াছি, কৃষ্ণই আমার একমাত্র অবলম্বন, তিনি
“মোর গতি, তিনি মোর পতি
মন নাহি আন ভায়।”
ধর্ম্মাধর্ম্মের কথা কি বলিতেছ, আমার ও সকল জানিবার ও শিখিবার আর কিছুই নাই, আমার মন স্বতন্তর (স্বাধীন) নহে, মন একান্ত পক্ষে তাঁহার অধীন হইয়া গিয়াছে। তোমাদের কোন উপদেশের অবকাশ নাই, আমি সম্পূর্ণ-রূপে তদধীন। কুলের বধুকে আমার মত এরূপ হইতে দেখিয়াছ কি? কুল থাকিতেও আমি অকূলে