বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পদ্মাপুরাণ - নারায়ণ দেব.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s মহাপ্ৰভু সমসাময়িক ছিলেন বলিয়া বৈষ্ণব প্রভাব-সম্বন্ধে বিশেষ করিয়া এইরূপ ঘটিয়াহে কিনা তাঁহা কে বলিবে ? চৈতন্য-পূৰ্ববৰ্ত্তী কবি নারায়ণ দেবের পুথিতে মহাপ্রভুর কোন উল্লেখ না থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু বিজয় গুপ্তের পুথিতে মহাপ্রভুর কোন উল্লেখ নাই, ইহার কারণ কি ? নারাযণ দেবের বিভিন্ন পুথিতে অল্পবিস্তর বৈষ্ণৰ প্ৰভাবের হেতু হয়তো মহাপ্রভুর সমসাময়িক কি পরবর্তী গাযকগণ ও পুথি নকলকারিগণ । আলোচ্য পুথিতে যে বৈষ্ণবপ্রভাব দেখা যায, তাহাতে খুব সম্ভব। ইহাদেরই হস্তচিহ্ন বৰ্ত্তমান । বিজয় গুপ্তের পুথিতে “ হাসন-হুসেনেব পালা৷ ” বলিয়া একটি পালা দেখা যায়। এই পালাটিতে মনসা-পূজক বাখালগণের সহিত জনৈক মুসলমান কাজি ও তাঁহার অনুচরবর্গের বিবাদের একটি বাণ না পাওযা যায়। ইহা ছাড়া মুসলমান জোলাদের পাড়ায় মনসাদেবীর কোপের বর্ণনাও বিজয় গুপ্তের পুথির একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। কিন্তু নাৰায়ণ দেবের কোন পুথিতে জোলাদের উল্লেখ নাই। হাসন-হুসেনের সম্বন্ধে যে কথা আছে, তাহাও অতি সামান্য। শুধু সামান্য কয়েক স্থানে মৎসম্পাদিত পুথিতে হাসন-হুসেনের নাম পাওয়া যায়। পুথির একস্থানে আছে পুত্ৰ লক্ষ্মীন্দরকে বিবাহ করাইয়া বণিক চন্দ্ৰধর শীঘ্র দেশে ফিরিবার কারণ-সম্বন্ধে বৈবাহিক সাহেরাজাব নিকট বলিতেছেন যে,- ‘ छठगन शांगटनव निकट जांगाब भूनेि। না জানি বাজ্যেত কীব্য হইল ডাকা চুবি ।” অন্য একস্থানে এইরূপ আছে। মনসাদেবী কালিনাগিনীৰুে দুঃখ করিয়া বলিতেছেন :- “ হাসান হুসেন দুই ভাই আমি গোলাম তার ঠাই দিল্লিপের হয়ে রাজা । एांभांत ब्रांशंॉळ भांत्रिं उांछिछिल घ5 वांछि । ভয়ে দিল নব লক্ষের পূজা ৷” নারায়ণ দেবের পুথিতে এই পালাটির এত সামান্য উল্লেখের কারণ কি ? ১৫শ১৬শ শতাব্দীর বাঙ্গালার পাঠান সুলতান প্ৰসিদ্ধ হুসেন সাহ কিছুকাল হিন্দু প্রজাদের উপর উৎপীড়ন করিয়াছিলেন, ইহা ইতিহাসের কথা ; সুতরাং এই সময়ের হিন্দু রচিত পুথিগুলিতে, বিশেষতঃ বিজয় গুপ্তের মনসামঙ্গল পুথিতে, হিন্দু-মুসলমান বিদ্বেষের কথার উল্লেখ থাকা বিচিত্র নহে। তাঁহাব পুথিতে বাণিত “ হাসন-হুসেনের পালা”তে তৎকালীন বাঙ্গালার রাজনৈতিক অবস্থার একটি সুন্দর চিত্র পাওয়া যায়। নারায়ণ দেব, বিজয় গুপ্ত ও হুসেন সাহের অনেক পূৰ্ববৰ্ত্তী ব্যক্তি বলিয়া এই পালাটি তাঁহার পুথিতে পাওয়া যায় না। হাসনহুসেনের যে সব উল্লেখ নারায়ণ দেবের পুথিতে পাওয়া যায়, তাহা যে অনেক পরবত্তা গায়কগণ ও লেখকগণ কর্তৃক সংযোজিত হইয়াছে সুতরাং প্রক্ষিপ্ত, তাহা অনুমান করা যাইতে পারে । বিজয় গুপ্তের সময়ে, অর্থাৎ ১৫শ শতাব্দীতে, বাঙ্গালায় মুসলমান প্ৰভুত্ব দৃঢ় ও সুপ্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। ইহার ফলে রাজকাৰ্য্য ও ব্যবসায়-বাণিজ্য-ক্ষেত্রে এই দেশে আরবি ও ফারসি ভাষার যথেষ্ট প্রচলন হওয়ার কথা। বিজয় গুপ্তের মনসামঙ্গলে ইহার যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া C-5B.