পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাবিংশ দিবস সোমবার, ২৩ শে জ্যৈষ্ঠ । কৰ্ণপ্ৰয়াগ ও আদিবাদরি । জয়কুণ্ডি হইতে কৰ্ণপ্ৰয়াগ প্ৰায় ৪৷ মাইল হইবে। কর্ণপ্ৰয়াগে অলকানন্দার সহিত পিণ্ডরগঙ্গা ( ওরফে কর্ণগঙ্গা ) সঙ্গত হইয়াছে । এই স্থানেও স্রোতো বেগ কম, আমরা স্বচ্ছন্দে নামিয়া স্নান-তৰ্পণাদি করিলাম। মহারাজ কর্ণ এখানে যজ্ঞানুষ্ঠানে প্ৰভূত সুবর্ণাদি দান করিয়া নামটি চিরস্মরণীয় করিয়া গিয়াছেন। এখানে ঘাটের পাণ্ডারা অন্নদান করিতে উপদেশ দিয়া থাকেন । ঘাটের উপরে মহাদেবের মন্দির এবং ইহারও একটু উপরে উমা-দেবীর এক প্রাচীন মন্দির। এই সকল দর্শন করিয়া আমরা পিণ্ডরগঙ্গার উপরের পুল পার হইয়া কৰ্ণপ্ৰয়াগের বাজার পাইলাম । এখানে আমাদের যাত্রার সহায় গোমস্তাজী আমাদের কাছ হইতে বিদায় লইয়া রুদ্রপ্ৰয়াগের পথে অর্থাৎ তাহার বাড়ীর দিকে চলিয়া গেলেন । আমরা অপর দিকের সড়কে মৈলচৌধুরী অভিমুখে রওয়ান হইলাম। কর্ণপ্ৰয়াগে একটি পোষ্ট-আফিস আছে । এখান হইতে রুদ্রপ্ৰয়াগ প্ৰায় ২০ মাইল-বদরি হরিদ্ধারের ঐ পথটুকু মাত্র আমাদের দেখিবার বাকী থাকিল-যদিও ইহাতে দর্শনের তেমন কিছু নাই। কৰ্ণপ্ৰয়াগ হইতে মৈলচোৱী পৰ্য্যন্ত (২৯ মাইল) যে শড়কটি গিয়াছে, ইহা ভাল রাস্তা-মাইল-ষ্টোন নিয়মমত প্রোথিত আছে। আমরা ৪ মাইল গিয়া সিমুলি চটিতে আচারাদি করিলাম। এই চািটর সন্নিকটে