পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 বদরিকাশ্ৰম পরিভ্রমণ । পৰ্যটনের প্রথম দিবস ২৭শে বৈশাখ মঙ্গলবার, হৃষীকেশ ও লক্ষমণ বোলা । পরদিন আটটার সময় দেরাদুনগামী ট্রেণে চড়িয়া ৬ মাইল গিয়া সৰীকেশ রোড ষ্টেশনে ( ওরফে রাইটওয়ালায় ) অবতরণ করিলাম । তথা হইতে আমাদের প্রকৃত যাত্ৰা আরম্ভ চাইল । এই রেল ষ্টেশন হইতে মাইল খানিক পথ চলিয়া সত্যনারায়ণের মন্দির দেখিতে পাইলাম। মন্দিরটি যেমন সুন্দর, ভিতরকার মূৰ্ত্তিগুলিও তেমনই মনোহর। নারায়ণ লক্ষ্মী সহ সিংহাসনে বিরাজমান, নিম্নে গণেশ, গরুড় ও হনুমান। এখানে ধৰ্ম্মশালা এবং অনেক মিষ্টান্নের দোকান আছে । বহু যাত্রী এখানেই মাধ্যাহিলােক স্নানা তার সম্পাদনা করিল। আমরা হৃষীকেশ অভিমুখে চলিলাম। পথে মাইল দুই মাইল অন্তর অন্তর বিশ্রামার্থ ধৰ্ম্মশালা ছিল ; আমরা বরাবর প্রায় ৭ মাইল চলিয়: হসর্ষীকেশে উপস্থিত হইয়া গঙ্গায় স্নান ও তৰ্পণাদি সম্পাদনা করিলাম । স্মীকেশ হরিদ্বার হইতে চোঁদ মাইল । যাহারা রেলে হৃষীকেশ রোড ষ্টেশনে আসে না, তাতারা পথে ভীমেশ্বর মহাদেব ও ভীমকুণ্ড দেখিয় সত্যনারায়ণে আইসে । হৃষীকেশে বহু ধৰ্ম্মশালা আছে ; কিন্তু আমরা পাক করিয়া খাইবার নিমিত্ত একটু সুবিধাজনক স্থান বহুচেষ্টাতেও পাইলাম না । কেন না, যাত্রীর বড় ভিড় ; যাহারা বদরীনারায়ণ যাইবে না, এমনও অনেকে ঈষীকেশ ও লক্ষণঝোলা পৰ্য্যন্ত দর্শন করিয়া যায়। ঈষীকেশে। রামচন্দ্রের ও ভরতের মন্দির আছে । রামচন্দ্রের মন্দিরের সাক্ষাতে একটি কুণ্ডে যাত্রীরা স্নান ও তর্পণ করিয়া থাকে। এই কুণ্ডের নাম কেহ বলে কুজাকুণ্ড, কেহ বলে ঋষিকুণ্ড ।