পাতা:পরশ-পাথর - জলধর সেন.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরশ-পাথর এখনও ছেলেপিলে হয় নাই। সুতরাং অরুণের বাসায় আমি বেশ থাকতে পারব। তার পর, তারও এমন প্র্যাকটিস জমে নাই যে, তার অবকাশ নেই। তার সঙ্গে কথায় বার্তায় আমার বেশ কেটে যাবে। এই সব কথা ভেবেই আমি তার বাসায় থাকা স্থির করেছিলাম । ভোর বেলায় বঁকিপুর ষ্টেশনে পৌঁছে দেখি, অরুণ হাজিরা। বঁকিপুর আমার অপরিচিত স্থান নয় ; অরুণের বাসাও খুঁজে নিতে হবে না ; এ সব জেনেও সে অতি সকালে কেন ষ্টেশনে এসেছে, এর জন্যে তাকে অনুযোগ করলাম। সে বলল, “দাদা, অন্য সময় হোলে আমি ষ্টেশনে আসতাম না ; আপনার বাড়ীতে আপনি আসবেন, আমি অভ্যর্থনা করতে ষ্টেশনে আসব কেন ? কিন্তু, এবার আপনার যে মনের অবস্থা, তাতে দাদারই উচিত ছিল আপনাকে এখানে রেখে যাওয়া । তা না ক’রে তিনি আমাকে টেলিগ্ৰাম করলেন আমি যেন ষ্টেশনে হাজির থাকি। তাই আমি এসেছি। মহামান্য অতিথি বলে অভ্যর্থনা করতে আসিনি।” আমি হেসে বললাম, “আরে, তুই ত দেখছি। এই অল্প দিনের মধ্যেই বেশ বক্তার হয়ে পড়েছিস। তা বেশ, তুই যে · ክ”S