পাতা:পরিণীতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৰিণীত ჯ&9 আসা-যাওয়া করিয়াছে এবং ঘরের লোকের মতই সকলের সুমুখে বাহির হইয়াছে। তাই চারুর মামার সুমুখেও বাহির হইতে, কথা বলিতে প্ৰথম হইতেই তাহার কোন দ্বিধা হয় নাই। কিন্তু, আজি গিরীনের সুমুখে বসিয়া সমস্ত খেলার সময়টা, কেমন করিয়া যেন তাহার কেবলি মনে হইতেছিল, এই কয়দিনের পরিচয়েই গিরীন্দ্ৰ তাহাকে একটু বিশেষ গ্ৰীতির চােখে দেখিতেছে। পুরুষের শ্ৰীতির চক্ষু যে এতবড় লজ্জার বস্তু, তাহা সে ইতিপূর্বে কল্পনাও করে নাই। বাড়ীতে একরার দেখা দিয়াই সে তাড়াতাড়ি ও-বাড়ীতে শেখরের ঘরে গিয়া ঢুকিল এবং একেবারে কাজে লাগিয়া গেল। ছেলেবেলা হইতে এঘরের ছোটখাটো কাজগুলি তাহাকেই করিতে হইত। বই প্ৰভৃতি গুছাইয়া তুলিয়া রাখা, টেবিল সাজাইয়া দেওয়া, দোয়াত-কলম। ঝাড়িয়া মুছিয়া ঠিক করিয়া রাখা, এ-সমস্ত সে না। করিলে আর কেহ করিত না । ছয় সাত দিনের অবহেলায় অনেক কাজ জমিয়া গিয়াছিল, সেই সমস্ত ক্ৰটি সে শেখরের ফিরিয়া আসিবার পূর্বেই নিঃশেষ করিয়া ফেলিতে কোমর বঁধিয়া লাগিয়া গেল। ললিতা ভুবনেশ্বরীকে মা বলিত, সময় পাইলেই কাছে কাছে থাকিত, এবং সে নিজে কাহাকেও পর মনে করিত না বলিয়া, এ DDDD S LBBBD BB S BB DBB DBDD DS S DD DBDBD DBB মা-বাপ। হারাইয়া মামার বাড়ীতে . প্ৰবেশ করিয়াছিল, তখন হইতে সে ছোট বোনটির মত শেখরের আশে-পাশে ঘুরিয়া, তাহার কাছে লেখাপড়া শিখিয়া মানুষ হইতেছে। সে যে শেখরের বিশেষ মেহের পাত্রী, তাহা সবাই জানিত, শুধু সেই মোহ যে এখন কোথায় উঠিয়াছে, তাহাঁই কেহ জানিত না, ললিতাও না । শিশুকাল হইতে শেখরের কাছে তাহাকে একইভাবে এত অপৰ্য্যাপ্ত আদর পাইতে সবাই দেখিয়া আসিয়াছে যে, আজ