পাতা:পরিণীতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিণীত 8. এই ঘরটি গলির উপরেই। চা-পান করিতে করিতে জানালার বাহিরে দৃষ্টি পড়ায় গুরুচরণ চেঁচাইয়া ডাকিয়া উঠিলেন, শেখর নাকি ? 6न, 6न ! একজন দীর্ঘায়তন বলিষ্ঠ সুন্দর যুবা ঘরে প্রবেশ করিল। গুরুচরণ বলিলেন, বোসো, আজ সকালে তোমার খুড়ীমার কাণ্ডটা শুনেচ বোধ হয় ? শেখর মৃদু হাসিয়া বলিল, কাণ্ড আবার কি, মেয়ে হয়েছে তাই ? গুরুচরণ একটা নিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, তুমি ত বললে তাই, কিন্তু তাই যে কি, সে শুধু আমিই জানি যে। শেখর কহিল, ও রকম বলবেন না। কাকা, খুড়ীমা শুনলে বড় কষ্ট পাবেন । তা ছাড়া ভগবান যাকে পাঠিয়েছেন, তাকেই আদরআহলাদ করে ডেকে নেওয়া উচিত । গুরুচরণ মুহুৰ্ত্তকাল মৌন থাকিয়া বলিলেন, আদর-আহলাদ করা উচিত, সে আমিও জানি। কিন্তু বাবা, ভগবানও ত সুবিচার করেন না। আমি গরীব, আমার ঘরে এত কেন ? এই বাড়াটুকু পৰ্যন্ত তোমার বাপের কাছে বাঁধা পড়েচে, তা পড়ুক, সেজন্যও দুঃখ করিনে শেখর, কিন্তু এই হাতেহাতেই দেখ না। বাবা, এই যে আমার ললিতা, মা-বাপ-মরা সোনার পুতুল, একে শুধু রাজার ঘরেই মানায়। কি ক’রে একে প্ৰাণ ধ’রে যার-তার হাতে দিই বল ত ? রাজার মুকুটে যে কোহিনুর জ্বলে, তেমনি কোহিনুর রাশীকৃত ক’রে আমার এই মা-টিকে ওজন করলেও দাম হয় না। কিন্তু, কে তা বুঝবে ? পয়সার অভাবে এমন রত্নকেও আমাকে বিলিয়ে দিতে হবে। বল দেখি বাবা, সে সময়ে কি রকম শেল বুকে বাজবে ? তেরো বছর বয়স হ’লো, কিন্তু হাতে আমার এমন তেরোটা পয়সা 6नई 6य, ५0क नश्वक अर्थjरु छिद्र कनेि ।