কোন দোষ দেখিনে। আমি তোমাদের জাতিভেদ মানিনে।” জ্যাঠাইমা আশ্চর্য্য হইয়া প্রশ্ন করিলেন,—“মানিস্নে কিরে? এ কি মিছে কথা, না, জাতিভেদ নেই যে, তুই মান্বিনে?” রমেশ কহিল,—“ঠিক ওই কথাটাই জিজ্ঞাসা কর্তে আজ তোমার কাছে এসেছিলাম জ্যাঠাইমা! জাতিভেদ আছে, তা’ মানি, কিন্তু, একে ভাল ব’লে মানিনে?”
“কেন?”
রমেশ হঠাৎ উত্তেজিত হইয়া কহিল,—“কেন, সে কি তোমাকে বল্তে হবে? এর থেকেই যত মনমালিন্য, যত বাদাবাদি, এ কি তোমার জানা নেই? সমাজে যাকে ছোটজাত ক’রে রাখা হয়েচে, সে যে বড়কে হিংসা কর্বে, এই ছোট হয়ে থাকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ক’রে এর থেকে মুক্ত হ’তে চাইবে, সে ত খুব স্বাভাবিক। হিন্দুরা সংগ্রহ করতে চায় না, জানে না—জানে শুধু অপচয় কর্তে। নিজেকে এবং নিজের জাতকে রক্ষা কর্বার এবং বাড়িয়ে তোল্বার যে একটা সংসারিক নিয়ম আছে, আমরা তাকে স্বীকার করি না বলেই প্রতিদিন ক্ষয় পেয়ে যাচ্চি। এই যে মানুষ-গণনা করার একটা নিয়ম আছে, তার ফলাফলটা যদি পড়ে দেখ্তে জ্যাঠাইমা, তা হ’লে ভয় পেয়ে যেতে। মানুষকে ছোট ক’রে অপমান কর্বার ফল হাতে হাতে টের পেতে! দেখ্তে পেতে, কেমন ক’রে হিন্দুরা