বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ পাচুঠাধুর। সংখ্যা যতই কেন হউক না,—তাহারা গণনার মধ্যে আসিতে পারে না । আর গণ্য মাষ্ঠ লোক ভিন্ন অষ্ঠের হিসাব রাখিয়া পঞ্চানন্দই বা আন্ধলাঘব করিবেন কেন ?: তদনন্ত্রর ছাপা পরলোকের কথা এইখানে শেষ করিয়া ইহলোক মিশ্রিত পরলোকের কথা বলা যাইতেছে। অর্থাৎ ইহলোকে থাকিয়াও পরলোকের ব্যবস্থা যাহার করিয়া থাকেন, সেই ধাৰ্ম্মিক দলের প্রসঙ্গ উথাপন করা যাইতেছে। সাতাশী সালে ধৰ্ম্মের বিলক্ষণ শ্ৰীবৃদ্ধি হইয়াছে। খৃষ্টান রাজা অফিগানস্থানে এক গণ্ডে চপেটাঘাত খাইযা দক্ষিণ অফেরিকাতে দ্বিতীয় গণ্ড পাতিয়া দেন এবং তদ্বারা ধৰ্ম্মোপদেষ্টার উপদেশ সার্থক করেন । মহম্মদের শিষ্যগণ এক হস্তে কোরাণ, অন্ত হস্তে তরবাল চালাইবার সুবিধা না দেখিয, হোটেলে খানশামাকপ ধারণপূৰ্ব্বক গরম অর্থাৎ শূকরমাংস ছেদন করিয়া ধৰ্ম্মের সম্মান রক্ষা করিয়াছেন। তুর্গোৎসব উপলক্ষে ব্রাহ্মণ পণ্ডিতকে ফলার এবং সাহেব সুবাকে থানা দিয়া “সৰ্ব্বজীবে সমান দয়া” পড়িয়া মার থাইয়া কথাটী না কহিয়া “অহিংসা পরম ধৰ্ম্ম” ইত্যাদি শাস্ত্র বাক্যের মাহাত্ম্য রক্ষা করিয়া, হিন্দুসস্তান কুলধৰ্ম্মে নিষ্ঠ প্রদর্শন দ্বারা ধৰ্ম্মের গৌরব বৰ্দ্ধন করিয়াছেন। ব্রাহ্মধৰ্ম্মী সকল ধৰ্ম্মের উপাদেয় খিচুড়ি পাকাইয়া অকাতরে বিতরণপূর্বক সগৌরবে নববিধানের ধ্বজ তুলিয়া ধৰ্ম্মের মহিমা কীৰ্ত্তনে ক্রটি করেন নাই। আর ইহার পর উপধৰ্ম্ম, বাজে ধৰ্ম্ম, অধৰ্ম্ম প্রভৃতি কত প্রকারে ষে প্রভাব বিস্তার করিয়াছে,—তাহার তালিকা এখনও প্রভত হয় নাই এবং সংক্ষেপে বর্ণনাতীত । Յծ