স্বরেন্দ্রায়ণ । b83, করিতে লাগিলাম। এতে কে না মাটী হয় ? আমি ত একেবারে ডাহ মটী । তার পর মাটী,—দেৰত । আমারই জাতি, জ্ঞাতি, একচ্ছিদ্র শালগ্রামই হউন, আর নবদ্বার বিশিষ্ট বিগ্রহই হউন, তিনিও বিলক্ষণ মাটা। সুরেন্দ্র জেলে যাইবার আগেই তিনি কতক মাটী হইয়াছিলেন, অন্তত একশ বছরের কম বয়সের পাথর হইয়াছিলেন । তবু ঠাকুরের কিছু ইজ্জত ছিল, তাহার হইয়। দুজন হিন্দু খ্ৰীষ্টানে যুক্তি করিয় মেথরের ঝাড় পূজা বারা ধায় ঠাকুরকে বসিতে দিয়াছিল, বিশেষ নাস্তানবুদের কারখান কেহ কিছু করে নাই, অন্তত বিশেষ কিছু প্রকাশ পায় নাই – অস্থর্যামী ঠাকুর অন্তরের কথা অন্তরে রাখিয়া দিলেই আর গোল হইত ন । কিন্তু সুরেন্দ্র জেলে যাওয়াতে ঠাকুরট একেবারে মাটী । সাধ করিয়াই হউক, আর দায়ে পড়িয়াই হউক, ঠাকুর সেই তিলকে তাল করিয়াছেন ; করিয়৷ হিন্দু, মুসলমান, জৈন, খ্ৰীষ্টান, নানকপন্থী, অঘোরপন্থী, সকলের শরণাপন্ন হইয়া পড়িয়ছেন ; , এখন তাহার মর ইজতের জন্য পথে ঘাটে, হাটে মাঠে, যত্র তত্র কেবল কান্নাহাটি পড়ির গিয়াছে। লজ্জার কথা ৰলিব কি, উইলসেন পাণ্ডার বিরাটপূৰ্ব্ব নামক মহাতীর্থের হিন্দুযাত্রীরাই এখন তাহার প্রধান সহায় বলিয়৷ লোকের মাঝে রাষ্ট হুইয়া পড়িয়াছে । এতে যদি ঠাকুর মৃাটী” না হয়, তবে আর কিসে মাটী হইবে ? চূড়ান্ত মাটী—হাইকোট । বিচারক নরেশশচন্দ্র কাদিতে কঁাদিতে কর্ত-বিচারকের কাছে উপস্থিত। বলিলেন,—:দাদা, ঐ বাড়য্যেদের সুরেন, ঐ যে ছোড়া ঢেঁড়য়ে চেচিয়ে দেশের লোককে ক্ষেপায় ; ঐ সুরেন আমায় যাচ্ছেতাই বোলৈ গালাগাল দেচে, আমায় কত কি বোলেচে, আমায়
