পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR, obr M नॅiठूठेiदूद्र ! অজস্র অর্থোপার্জন করিতেছেন। আমাদের মুখের সীমা কি ? আমাদের এখন ভাবনা নাই, চিন্তা নাই, কষ্ট নাই ; পৃথিবী ভাসিয়া গেলেও আমাদের ভাবনা নাই। তুমি মনে করিতেছ যে, হাকিমকে ভূতের খাটুনি খাটিতে হয়, সকল সাহেবের মন যোগাইয়া চলিতে হয় ; তুমি মনে করিতেছ যে উকীল পয়সার গোলাম, লাঙ্গুেেল তৈল মৰ্দ্দন না করিলে ইহার দিন পাত হয় না, অতএব ইহাদের জীবন বড়ই দুঃখময়। কিন্তু তুমি বোকা, তাই এরূপ মনে করিতেছ। যদি সত্য সত্যই ইঙ্গ দুঃখের কারণ হইত, তাহা হইলে চাকরির জন্ত দেশ শুদ্ধ লোক লালায়িত হইয়া দ্বারে দ্বারে ভ্রমণ করিত না । ওকালতির আশায় মাথ কুটিয়া মরিত না। বাস্তবিক তুমি যাঙ্গকে, নিবুদ্ধিত হতু, কষ্ট মনে করিয়া থাকে, তাহা সৌভাগ্য, ভোগের উপাদেয় চাটুনি মাত্র, তাহাতে সৌভাগ্যের সুস্বাদ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। একটু পর্য্যালোচনা করিলেই বুঝিতে পরিবে যে, মুশিক্ষিত হইবার নিমিত্তে ও বিশেষ কোন ও ক্লেশ পাইতে হয় না। আমরা পরীক্ষা দিয়া উপাধি হাসিল করিয়াছি সত্য, কিন্তু যে ইংরেজী ভাষায় পরীক্ষা দিয়াছি, প্রতি মুহুর্তেই তাহার পিণ্ডাস্ত করিতেছি ; যে গণিত ইতিহাস, বিজ্ঞানে পরীক্ষককে তুষ্ট করিতে হইয়াছিল, তাহ৷ সঙ্গে সঙ্গে বুড়ীগঙ্গর জলে বিসর্জন দিয়া এখন আমরা নিশ্চিন্ত হইয়াছি, অথচ পক্ষান্তরে মাতৃভাষার পদসেবা আমাদিগকে করিতে হয় নাই, মাতৃভাষাও সাহস করিয়া কখনও আমাদের নিকটবৰ্ত্তিনী হইতে পারে নাই। সুশিক্ষিতের প্রধান মুখ স্বাধীনত, আমরা অহরহ সে সুখ ভোগ করিতেছি। আমরা যখন শয্যা ত্যাগ করিয়া বহিৰ্ব্বাটীতে আগমন করি, তখন থানসাম তেল মাখাইয়া দেয়, খানসামা স্নান করাইয়া দেয়, ধানসাম ক্টোচান কাপড় পরাইয়া দেয় ; আমরা জড়ভরতের মত কেবল