આ જ ન পাচুঠাকুর H । কলিকাতার লোক বড় রহস্য-প্রিয়, ভাল মানুষ, পাড়াগেন্ধে পাইলেই । তাছাদের আমোদম্পূহ বড়ই চাগিয়া উঠে। আমি ইতস্ততঃ অস্থসদ্ধান করিতে করিতে কতকগুলি কলিকাতা-বাসী-আমি প্রথমতঃ তাহাদিগকে ঠকের হাটে ভদ্রলোক মনে করিয়াছিলাম-আমাকে বলিয়া দিল যে বড় আদালতে যাও, ফেরত বাঙ্গালী অনেক দেখিতে পাইবে । যুদ্ধ মুম্বাস সহজেই এতারিত হয়। আমিও প্রকারিত হইলাম । s বড় আদালতে আসিয়া যাহাকে দেখি তাহাকেই ধরিয়া বসি, মহাশয় কি বিলাত গিয়াছিলেন ?—সকলেই বলে--না। পরিচয় লইয়া বুঝিলাম কেহ উকীল, কেহ মোক্তার, কেই কেরাণী, কেন্ঠ আমলা ইত্যাদি ; কিন্তু বাঙ্গালী বারেঃর কিম্বা সিবিল একটীও দেখিলাম না । স্থতশ্বাস হইয়া, ক্ষুন্ধচিত্তে ফিরিয়া আসিব মনে করিতে ছ, এমন সময়ে একজন জুয়াচোর—সবই জুম্বাচোর-আমাৰ বিমৰ্ষভাবের কারণ জিজ্ঞাসা করিয়াছিল। এমন আরও প{চ সাতজন জিজ্ঞাসা করিল, কিন্তু আমি মামলা করিতে আসি নাই শুনিয়, তাঙ্গর দ্বিরুক্তি না করিয়া চলিয়া গেল। কিন্তু এ লোকটী চেহারায় যেন কতই ভদ্রলোক—বেটা পাজি পাষণ্ড –এ লোকটা, একটী কালে কালে, ছোট খাটো, সাহেব আমাকে দেখাষ্টয়া দিয়া বলিল—ঐ দেখে, বাঙ্গালী বারেষ্টর । সহসা বিশ্বাস হুইল না, কিন্তু পরীক্ষণেই মনে হইল, হইতেও পারে, আমি পাড়াগেয়ে মানুষ, হয় ত এ সরগরম আদালতে আসিয়া দিশাহীয়া হইয়া মানুষ চিনিতে পারিতেছি না। তথাপি সেই লোকটাকে আর একবার জিজ্ঞাসা করিলাম , সে চটিয়া বলিল, তুমি কোথাকায় পাগল! তে যায় কি আমি মিথ্যা কলিঙ্গৰ । একট অপ্রতিত হইলাম, কারণ বুদ্ধির উপর খোট দিলে
