9 е পাচুঠf ,র। শরীরের সব কয়খানি হাড় কেন এক ঠাই হইবে না ইহাই ভাবিতে ভাবিতে যাইতে লাগিলাম । মানুষের স্বৰ্গতি আরম্ভ হইলে পদে পদে অপমান ঘটে ; আমার অহঙ্কার, ভাষার পরে লজ্জা হইয়াছে, এটা বোধ হয় সকলেই টের পাইয়াছিল ; নতুবা একটা লোক আমার পাছে পাছে ঢাক বাজাইতে বাজাইতে দৌড়িবে কেন । তামাসা করিতেছি না, সত্য সত্যই ঢাক বাজাইতে বাজাইতে একজন দোঁড়িতেছিল। এই দুঃখের অবস্থায় এঙ্কার গাড়োয়ান আমার কোলে বসিয়া রাধাপ্তামের প্রণয়সঙ্গীত ধরিয়া দিল। লোকটা রসিক বটে, কিন্তু তাহার রসিকতায় আমার সৰ্ব্বাঙ্গ জলিয়া যাইভে লাগিল। অথচ তাঙ্গর সঙ্গ ছাড়িবার ও উপায় ছিল না। তখন এমনই ঘৃণা হইল যে, সেখানে যদি দাড়াইতে আমার প্রবৃত্তি হইত, তাহা হইলে এক্কা হইতে নামিয়া পৃথিবীকে দ্বিধা বিদীর্ণ হইতে বলিতাম, এবং বিদীর্ণ হইলে ধরণ গর্ভে প্রবেশ করিতাম । যাহা হউক নিরুপায় হইয়। সেই বিটুলে ঢাকীকে কিঞ্চিৎ সুস্থ দিয়া ক্ষান্ত করিলাম এবং ফিরাইয়া দিলাম। অহঙ্কার অন্যায়, ইহা স্বীকার করি, কিন্তু এত লঘু পাপে এরূপ গুরুদণ্ডও অন্যায়, তাহার আর সন্দেহ নাই । এইরূপ বিতর্ক করিতে করিতে দেখিতে পাইলাম যে, আমার চতুর্দিকেই পাহাড়গুলা ঘাড় উচু করিয়া আমার দিকে রুক্ষ দৃষ্টি করিতেছে। পরে বুঝিয়াছি যে, সেটা পাহাড়ের স্বভাব, আমার জন্ত বিশেষ করিয়া কিছু করে নাই। কিন্তু তাহা বলিলে কি হয়, তুঃখের দশায় মানুষের স্বভাবতই এইরূপ মনে হয় যে, সকলই বুঝি তাহাকে টিটকারী করিবার জন্ত চলা-ফেরা করিতেছে, তদ্ভিন্ন অন্য কোন কৰ্ম্মও তাঙ্কার নাই। দেওৰয়ে পৌছিলে তবে আমার দুঃখের অবসান হইল ; আবার সুখ হইল । রবার্ট সাহেবই হউন, প্রেশকমিশনারই হউন, আর