বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমালোচক-রহস্য ס9א פי of criticism (aft কুড়ালে-কোপান ধরণ) দেখা যায়, তাহাতে শেষোক্ত অনুমানই সমীচীন বলিয়া সপ্রমাণ হয়। কথাটা একটু খোলসা করিয়া বুঝাইব । সারস্বত আয়তন হইতে আবর্জন দূর করা, জঞ্জাল ঝাটাইয়া ফেলা, ধূলামাটি সাফ করা, সমালোচনারূপ সম্মার্জনী-চালনার প্রকৃত উদ্দেশ্য। সত্য বটে, প্রাচীনের কাব্যের গুণ-বিবেচনেই ব্যস্ত থাকিতেন, দোষনিরূপণে দোষের উল্লেখ করিলেও তাহা অল্প স্থান অধিকার করিত । কিন্তু তাহার কারণ ছিল। মুদ্রাযন্ত্রের অভাবে তখন উত্তম গ্ৰন্থ ছাড়া অধম গ্ৰন্থ প্ৰচারিত হওয়ার তত সম্ভাবনা ছিল না, অর্থাৎ এখনকার মত বাজে বই বড় বাহির হইত না । এখন মুদ্রাব্যন্ত্রের কৃপায় সকলেই লেখক, সকলেই গ্ৰন্থকার। ফলে আবর্জনার রাশি দিন দিন বাড়িয়া যাইতেছে। ইংরেজদিগের দেখাদেখি আমরাও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকিতে চাই, কোথাও আবৰ্জনাস্তুপ জমিতে দিই না। এই জন্যই সহরে মিউনিসিপ্যালিটীর কনসারভ্যানসি-বিভাগের স্থাপনা, আর ঠিক অনুরূপ কারণে সাহিত্য-জগতে সমালোচনা-বিভাগের স্থাপনা ! কেহ কেহ তৰ্ক তুলিবেন,-তবে কি সমালোচক ধাঙ্গড় ? অবশ্য, সমাজের কৰ্ম্ম-বিভাগে জাতিভেদ মানিতে হইলে স্বীকার করিতে হইবে যে, সমালোচক তাহাই বটে। আবার সমালোচক ধাঙ্গড় কেন, সময়ে সময়ে গরজে পড়িয়া মেথরও হইয়া পড়েন। সমালোচক সরস্বতীমণ্ডপের উঠান ঝাঁট দেন, আবৰ্জনারাশি দূরে নিক্ষেপ করেন, প্রয়োজন হইলে, যাহারা উঠানে বসিয়া মলত্যাগ করিতেছে, তাহাদিগের পিঠে দু এক ঘা দেন, ময়লাটাও সাফ করেন, পরে গোবরছড়া দেন বা হাল ফ্যাশানে । ফেনাইল ছিটাইয়া দেন। আপনারা ফেনাইল প্ৰভৃতি প্ৰতিষেধক পদার্থের বিকট ঝাঝে নাকে কাপড় দেন, কিন্তু এ যে পুতিগন্ধি ।