বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পাঠসার.djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুদ্রাযন্ত্র ও বঙ্গভাষী । જે જે সমস্ত হুকুম কাঠে খোদাই করা অপেক্ষা, বর্ণমালার অক্ষরগুলি স্বতন্ত্র খোদিত করিলে কার্য্যের অধিক সুবিধা হয় বিবেচনায়, পীচিৎ মাটিদ্বারা ঐরূপ অক্ষর প্রস্তুত করিয়াছিল । কিন্তু মুদ্রণ-কৌশল প্রথমে আবিষ্কার করিয়াছিল বলিয়া, চীনদেশেই মুদ্রণযন্ত্রের সমধিক উন্নতি হয় নাই । গুটেনবর্গ নামক জৰ্ম্মনী দেশীয় একজন প্রতিভাশালী লোকই প্রকৃত প্রস্তাবে মুদ্র মস্ত্রের সৃষ্টি করিয়াছেন । তিনিও প্রথমে খোদিত কাষ্ঠ হইতে ছাপা তুলিতেন । হাতে ছাপা না তুলিয়া যন্ত্রদ্বারা তুলিলে সহজে অধিক কাৰ্য্য হইতে পারে বিবেচনায়, তিনি ভাবিয়া চিন্তিয। একটি যন্ত্রের কল্পনা করিলেন, এবং সাম্প্যাক নামক একজন সুত্রধরের দ্বারা একটি কাষ্ঠের ছাপাখানা প্রস্তুত করাইয়া লইলেন । ফষ্ট নামক একজন স্বদেশীয় সহযোগী গুটেনবর্গের সঙ্গে একযোগে কাৰ্য্য করিয়া তাহার বিলক্ষণ আনুকুল্য করিয়াছিলেন । কাষ্ঠের ছাপাখানা প্রস্তুত হইবার দুই বৎসর পরে ১৪৩৮ খৃষ্টাব্দে কষ্টার নামে আর একজন বুদ্ধিমান লোক সতন্ত্র অক্ষরের স্বষ্টি করিলেন । এইরূপে প্রকৃত প্রস্তাবে মুদ্রাযন্ত্রের স্বষ্টি হইল। সৰ্ব্ব প্রথমে র্তাহারা বাইবেল গ্রন্থ মুদ্রিত করিয়াছিলেন । এই প্রথম মুদ্রিত পুস্তক এখন আর প্রায় পাওয়া যায় না।