বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পাঠসার.djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায় । ১২৯ প্রচলিত সংস্কার বা ব্যবহারের বিরুদ্ধে কিছু বলিলে, চিরকালই অনেক লোক বিরোধী হইয়া থাকে। যাহারা প্রচলিত সংস্কারাদিতে বিশ্বাসী, তাহারা বিরোধী হইলে অনুযোগ করা যায় না বটে, কিন্তু যাহারা স্বার্থসাধনের জন্য বিরোধী হইয়া, সত্য ও দ্যায়কে অনাদর করে, তাহারা যারপর নাই নিন্দনীয় ! দুঃখের বিষয় এই যে, প্রত্যেক সমাজেই এইরূপ লোকের সংখ্যা কম নহে এবং সৰ্ব্বত্রই তাহারা সত্যনিষ্ঠ ও সাধু লোকদিগকে ক্লেশ দিয়া থাকে ! প্রচলিত মত ও আচার-ব্যবহারে ফুল ঠাকুরাণীর দৃঢ় বিশ্বাস ও নিষ্ঠ ছিল । রামমোহন কুসংস্কার-বিহীন ও স্বাধীন চেতা হইয়া উঠিলেন বলিয়া, মাতার সঙ্গে ক্রমেই আচার ব্যবহারে বিসদৃশ হইয়া পড়িলেন । মাতা পুত্রে এইরূপ পার্থক্য দেখিয়া, স্বার্থপর সামাজিকের। ফুল ঠাকুরাণীকে,পুত্রের বিরুদ্ধে অধিকতর উৎসাহিত করিতে লাগিল । আপনার ধৰ্ম্মবিশ্বাস ও সামাজিকদিগের প্ররোচনার বশে, রামমোহনের জননী অগত্য রাম মোহনকে গৃহ হইতে বহিস্কৃত করিয়া দিলেন । ষোড়শ বর্ষ বয়সে রামমোহন গৃহ হইতে তাড়িত হইলেন । অন্ত সহায় সম্বল না থাকিলেও, তিনি সহায় সম্বল-বিহীন ছিলেন না । বুদ্ধি ও বিদ্য। তাহার সহায়,