বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পাঠসার.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজ রামমোহন রায় । o J', প্রাণনাশে অভিলাষী হইল ! কোন কোন দয়াবতী বৌদ্ধ রমণীর আশ্রয়ে তিনি রক্ষা পাইলেন । তিব্বত হইতে ফিরিয়া আসিয়া বিশ বৎসর বয়স পৰ্য্যন্ত তিনি ভারতের নানা স্থান পৰ্য্যটন করিয়া, অসীম অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছিলেন । রামমোহনের পিতা, পুত্রের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশালী এবং পুত্রের গুণগ্রামের পক্ষপাতী ছিলেন । ফুলঠাকুরাণী অধিকাংশ বাঙ্গালী স্ত্রীর মত স্বামীর হস্তের পুতুলের মত ছিলেন না ; তাহার বুদ্ধি, তেজস্বীতা ও ধৰ্ম্মসংস্কারের বিরুদ্ধে, রামকান্ত কিছু বলিতে বা করিতে পারিতেন না । রামকান্ত প্রায় সৰ্ব্বদাই এই বলিয়া আক্ষেপ করিতেন যে, রাম বিমে দশরথের যেমন প্রাণ গিয়াছিল, আমার রাম বিনেও সেইরূপ আমার প্রাণ যাইবে । বিশ বৎসরের সময় রামমোহন দেশে আসিলে, ফুল ঠাকুরাণী পতির কাতরতা হেতু রামমোহনকে পুনগ্রহণ করিয়াছিলেন । কিন্তু অল্পকাল পরেই আবার পরিবার ও সমাজের সঙ্গে রামমোহনের স্বতন্ত্রতা ঘটিল। এই সময়ে তিনি রাজস্ব বিভাগে এক সামান্ত কৰ্ম্ম লইয়া রঙ্গপুরে গেলেন, এবং বুদ্ধি ও চরিত্র গুণে অল্পকাল মধ্যেই রঙ্গপুরের কালেক্টরের দেওয়ানী পদ পাইলেন । কোন বাঙ্গালিই তৎকালে ইহা অপেক্ষ উচ্চপদ পাইতেন না। রাম