বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারইয়া রাজার কাহিনী
১৭৩

এক প্রহর নিশি আছে তিন প্রহর গেছে।
মরণ সুমুখে কইন্যা একটু বইস কাছে॥৩৩৭
পাষাণের বুক মোর কন্যালো হইল দেখ খালি।
এই বুকে তুল্যা লইব তোমা হেন নিধি॥৩৩৯
কাইল ত বিয়ানে কন্যালো যদি নিশ্চিত মরণ।
আর বার দেখি তোমায় ভইরা না দুই নয়ন॥৩৪১

শুন শুন পরাণের কুমার, আরে কহি যে তোমারে।
বন্ধ না খুলিয়া দিলাম যাহ নিজ দেশে॥৩৪৩
রাখ যদি রাইখ্য মনে অভাগীর কথা।
দুষ্মনের দেশে আইস্যা পাইলা মরণ-ব্যথা॥৩৪৫
এই ব্যথা পাশুরিলে সেই ব্যথা না পারি।
মনে ত রাখিও বন্ধু শ্রীচরণের দাসী।”৩৪৭

(১০)


হাতে ধইরা কুমারে কন্যা পন্থে বাহিরিল।
জঙ্গলার পথে কন্যা তবে মেলা দিল॥৩৪৯
চান্দ পলায় যেমুন রাহুর তরাসে।
বিদায়ের কালে কন্যা আঁখিজলে ভাসে॥৩৫১
“শুন শুন পরাণ বন্ধু, বন্ধু আরে কহি যে তোমারে।
আর কবে অইব দেখা কতদিন পরে॥৩৫৩
জল ছাড়া মীনের গতি আর বায়ু ছাড়া প্রাণী।
তোমারে ছাড়িয়া ভালা কেমুনে ধরিব পরাণী॥”৩৫৫

না কাইন্দ না কাইন্দ লো কন্যা মন কর থির।
তোমারে রাখিয়া যাইতে মনে নাই সে লয়।
দুষ্মন তোমার বাপ তাইতে করি ভয়॥৩৫৮
আইজ ত বিয়ার রাতি লো কন্যা থির কর মন।
ভিন্নদেশী কুমারেরে রাখলো স্মরণ॥৩৬০