এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বগুলার বারমাসী
২২৯
এন কালেতে সাধুর ডিঙ্গা লাগিলেক ঘাটে।
দেশেত পড়িল সাড়া বাদ্দিভাণ্ড বাজে॥
ভরা ডিঙ্গা ছাইড়া উঠে সাধুর নন্দন।
শীতল মন্দিরে যায় ত্বরিত গমন॥
“শুনলো প্রাণের কন্যা বগুলা সুন্দরী।
এক বচ্ছর গত হইল তোমারে না দেখি॥
কেমনে পরাণ ধরি বৈদেশেতে বাসা।
দারুণ রাজার পুত্র করিল নিরাশা॥
ভাড়াইয়া ভাড়াইয়া মোরে পাঠায় বৈদেশে।
আর না থাকিম এমুন রাজার দেশে॥
* * * *
দুয়ার খোললো কন্যা আইলাম ঘরে॥”
* * * *
ননদী আসিয়া কয় সাধুর নন্দনে॥
“কলঙ্কে ছাইল দেশ দাদা নাহিক উপায়।
তোমার ঘরের নারী তোমারে ভাড়ায়॥”
পিঞ্জরা খুলিয়া পত্র ভাইয়েরে দেখাইল।
দেখিয়া সাধুর পুত্র আগুন জ্বলিল॥
ভরা ডিঙ্গায় উঠাইয়া কন্যারে দিল বনবাস।
কান্দে বগুলা কন্যা না পূরিল আশ॥ (৩৪৯—৩৭৫)
(১৮)
“বনে থাক বনের বাঘরে খাও মোর মাথা।
না কইও না কইও বন্ধে আমার যত কথা॥