পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩৬
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা

এক দিনে ফুটি ফুল গো বচ্ছরে না বাসি।
তা দিয়ে সাজান করে গো যতেক রাক্ষসী॥১৬
বারমাস ফলে বৃক্ষে গো অমৃত রসাল।
পাক্‌না ফলের ভরে গো ভাইঙ্গা পড়ে ডাল॥১৮

রাতিতে প্রদীপ জ্বালে গো না নিভে দিবসে
নিশিদিন কাটে সবে গো গীত-বাদ্য-রসে॥২০
পক্ষী যদি উড়ে যায় গো যায় দুই সারে।
চন্দ্র সূর্য্য গো দূর হইতে নমস্কার করে॥২২
বড় বড় ঘরগুলি গো পাহাড় পর্ব্বত।
তাহাতে বসতি করে গো রাক্ষসেরা যত॥২৪
সোণায় ছাইয়া ঘর গো রূপায় দিছে বেড়া।
জমিনে থাকিয়া ঠেকে গো আসমানেতে চূড়া॥২৬

রাবণের কেলিগৃহ গো তাহার মাঝখানে।
চান্দেরে বেড়িয়া যেন গো শোভে তারাগণে॥২৮
হাজার-দুয়ারী ঘর গো আবে ঝিলিমিলি।
সোণার কপাট মধ্যে গো রূপার দিছে খিলি॥৩০
হীরামণ মাণিক্য দিয়া গো করেছে সাজন।
এমন সুন্দর ঘর গো নাহি তির্‌ভুবন।৩২

রূপেতে রূপসী যত গো রাক্ষস-কামিনী।
পারিজাত ফুলে তারা গো বিনাইয়া বান্ধে বেণী॥৩৪
মণি-মাণিক্যেতে কেউ গো চাঁচর কেশ বান্ধে।
বায়ু মুরভিত হয় গো শ্রীঅঙ্গের গন্ধে॥৩৬
হীরামণ-মাণিক্য গো অঙ্গে পায় লাজ।
দণ্ডে দণ্ডে ধরে তারা গো নব রঙ্গের সাজ॥৩৮
সোণার পালঙ্কে তারা গো শুইয়া নিদ্রা যায়।
দেবের অমৃত তারা গো সুখে বৈস্যা খায়॥৪০