বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চন্দ্রাবতীর রামায়ণ
২৬৫

তমসা নদীর কথা গো সদা পড়ে মনে।
রাজহংসী খেলা করে গো কমল-কাননে॥৪৮
তমালের ডালে নাচে গো ময়ূরাময়ূরী।
সোনার হরিণী ছিল গো মোর সহচরী॥৫০
প্রতি নিশি স্বপ্ন দেখি গো মুনিকন্যাগণে।
তোমার সঙ্গেতে যেন গো বেড়াই বনে বনে॥”৫২

চুম্বন করিয়া রাম গো কহেন সীতারে।
“আজ নিশি কর বাস গো রতন-মন্দিরে॥৫৪
কালি প্রাতে আশা তব করিব পূরণ।
লক্ষ্মণ সহিতে তোমা গো পাঠাইব বন॥”৫৬
চন্দ্রা কহে দৈবদুঃখ গো না যায় খণ্ডানি।
কি বর মাগিলে গো হায় জনক-নন্দিনী॥৫৮

(২)

শয়ন-মন্দিরে একা গো সীতা ঠাকুরাণী।
সোণার পালঙ্কোপরি গো ফুলের বিছানী॥
চারিদিকে শোভে তার গো সুগন্ধি কমল।
সুবর্ণ-ভৃঙ্গার ভরা গো সরযুর জল॥
নানাজাতি ফল আছে গো সুগন্ধে রসিয়া।
যাহা চায় তাহা দেয় গো সখীরা আনিয়া॥
ঘন ঘন হাই উঠে গো নয়ন চঞ্চল।
অল্প অবশ অঙ্গ গো মুখে উঠে জল॥

উপকথা সীতারে গো শুনায় আলাপিনী।
হেন কালে আস্‌ল তথায় গো কুকুয়া ননদিনী॥১০

কুকুয়া বলিছে “বধূ গো মম বাক্য ধর।
কিরূপে বঞ্চিলা তুমি গো রাবণের ঘর॥১২

৩৪