ডেঙ্গি তনে লাম্যা যেই ভূমিত খাড়াইল।
কাওলা কাওলি[১] কর্যা সবে তাহারে ঘেরিল॥
কুমার সগল কথা কইল বুঝাইয়া।
রাধারমণ বুলে রাখছুইন সম্মান বাচাইয়া[২]॥
আস্সি পশ্শি[৩] “বুলে মিছা ভাড়াইল সকলে।
বেইজ্জাত কর্যা কুমার কাম কথার ছলে॥
ঘর নাইসে তুলন যায় এই সে কন্যারে।
দেশতনে বিদায় কর এই সে পাপেরে॥”
কেউ বুলে “খেদাইয়া দাও বিদেশ কর্যা পার॥”
কেউ বুলে “কাট্যা ভাসাও গাঙ্গের মাঝার।
ছালাত ভরিয়া দেও মনডুবি করিয়া॥”
এই কথা বল্যা সবে ধরিবারে যায়।
এরে দেখ্যা বীরনারায়ণ রামদাও ভাঞ্জায়॥
এক হাতে ধরি কন্যায় আর হাতে মারে।
যত ইতি লোক লস্কর পালায় তার ডরে॥ (১—৩৯)
(৫)
সোণা কন্যা কান্দি পড়ে বীরনারায়ণের পায়।
“আমি অভাগীর কও কি হইবে উপায়॥
আমিত অবুলা নারী না জানি পাপ মনে।
বিধারতা[৪] বিবাদী হইলা কি আছে করমে॥
জমিদারের পুত্র আপনে আপনের কিবা দুঃখ।
বিনা দোষে কলঙ্কিনী, ফাট্যা যায় মোর বুক॥”