ভূমিত লুটাইয়া হায়রে আরে কান্দে সে কুমার।
আমার যে নারী আছে কি হইব তারার॥
কথা নাই সে শুনে তারারে আরে ভালা করে পরস্থান।
তোমরার লাগ্যা আমরার কেরে যায় গর্দ্দান॥
কুমাররে লইয়া তারারে আরে ভাইরে ঘর ফির্যা আইল।
একলা যে সোণা কন্যা জঙ্গলায় রইল॥ (১—২২)
(১০)
সোণাকন্যা জানে কুমার আধার জুগাইত[১] গেছে।
আজি কেনে অত বেইল ফির্যা না আইতেছে॥
উঠ বইস করে কন্যা কুমারের লাগিয়া।
এই মতে সারা দিনমান রইল বসিয়া॥
সন্ধ্যা কালে যখন জঙ্গল আন্ধাইরে ঘিরিল।
কন্যা বুলে হায় হায় কুমার কোথায় রইল॥
কোথায় জানি রইল কুমার বুঝিত না পারে।
পুড়া মনের মধ্যে কত উঠে আর পড়ে॥
রামদা হাত লইয়া কন্যা বিছড়ায় কুমারে।
আউলা হইয়া না কন্যা জঙ্গলাত ফিরে॥
বাঘ যুদি খাইত বন্ধে পইড়া থাকত হাড়।
ছন্ন বংশ[২] না পাই কিছু জঙ্গলার মাঝার॥
আমার বন্ধু সেরা[৩] জোয়ান বাঘে ভরার তারে।
বুঝিবা পরীরা ধইরা লইয়া গেছে তারে॥
আনইলে বন্ধু মোরে গেছে ফাকি দিয়া।
আমি অভাগিনী সোণায় জঙ্গলায় ফালাইয়া॥
যেখানে গেলারে বন্ধু সুখে থাক্য তুমি।
তোমার দুঃখের কথা যেন কাণে নাইসে শুনি॥