বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রতন ঠাকুরের পালা
৩২৫

ভাত রান্ধে কন্যা আমার পান্থে[১] যোগায় পানি।
পরের হাতে সঁপ্যা কেমনে বাঁচাবো পরাণী॥”১৮
(হায়!) হাস্যা কয়রে রতন ঠাকুর শুন বিরধ[২] মালী। 
“কি দরে বিকাবে মালা কহ মোরে শুনি॥”২০
“বুড়ীতে বুড়ীতে পনরে পনে কাহন মিলে।
এক কাহন কড়ি দিলে মালা দিয়াম তারে॥২২
হাসি হাসি রতন ঠাকুর মালা দিল গলে।
গণ্যা বাছ্যা কাউন কড়ি তুল্যা দিল হাতে॥২৪


(৩)

একেলা সুন্দর কন্যা গাঙ্গের ঘাটে খাড়া।
মধু ভরা ফুলের খবর না পাইছে ভমরা॥

“যৈবনে যৈবতী লো কন্যা একলা থাক ঘরে।
কতখানি বয়স হইল না জান আপনে॥
টলমল অঙ্গলো কন্যা যৈবন বাইয়া পরে।
নিজে নাই জান খবর না দিয়াছে পরে[৩]
আঁখি মেল্যা দেখে কন্যা সুন্দর নাগর।
কেওয়া কেতকী পুষ্পে উইড়াছে ভ্রমর॥

“দিনের আলো নিমি ঝিমি[৪] রে কুমার রাইতের আলো ভালা।
একেত অবুলা নারী তা হতে একলা॥১০
দিনের আলো নিমিরে ঝিমিরে কুমার ঘিরিল আন্ধারে।
পন্থ ছাড়রে কুমার যাইব নিজ ঘরে॥”১২

  1. পান্থে=পথে যাইতে তৃষ্ণা পাইলে।
  2. বিরধ=বৃদ্ধ।
  3. নিজে......পরে=তোমার শরীরে যে যৌবন আসিয়াছে সে খবর তুমি নিজেও জান না এবং অপরকেও জানিতে দাও নাই।
  4. নিমি ঝিমি=মৃদু মৃদু।