(৪)
“ডাল ভাঙ্গ, ফুল তুললো, উগ্রাইয়া[১] নেও চারা।
হাতে হাতে আইজ কন্যা পইরা গেছ ধরা॥২
আজুকা বাগানে মোর নিছাদি[২] পাহারা।
(কন্যালো) নিত্তি নিত্তি লৈয়া যাহলো কন্যা
পুষ্পনা কইরা চুরি।
ভালা শাস্তি দিবাম লো আজি শুনলো সুন্দরী॥৫
কাটিয়া চামর কেশ লো কন্যা আলো গলায় বাঁধিম।
তোর যৈবন পুষ্প তুল্যা লো কন্যা মালা সে গাঁথিম॥৭
দুই আখ্খি অপরাজিতা, বদন চাম্পা ফুল—
এই না ফুলে গাঁথিয়া মালা পড়িবাম গলায়।
চোরের ধন চুরি কর্লে নাই সে বড় দায়॥”১০
“কি কথা কইলা রে কুমার বড় দুঃখু পাই।
অবিচার্যা দেশে কুমার বিচার না সে পাই॥১২
কোটালিয়া দেশের রাজা রাজা দেয় রে পারা[৩]।
যার লাগ্যা করিলাম চুরি সেই সে বলে চোরা॥১৪
এই দেশ ছাড়িয়া যাইম বৈদেশী হইয়া।
পুষ্পে মোর কাজ্জ[৪] নাই হস্ত দেওরে ছাইরা॥”১৬
“না ছার্বো, ছার্বো হাত লো, কন্যা আলো,
রৈয়া শুন্লো কথা।
যৈবন করলো দান রাখলো মোর কথা”১৮