না থাকিব খাটপালং জোেড় মন্দির ঘর।
রাজ্যবাসে যতেক লোক আপন হবে পর॥
হাতি ঘোড়া লোক লস্কর রাজা পাত্রমিত্র জন।
বিপাকে ফেলিয়া তোরে দিব বিড়ম্বন॥
সোণার মন্দির চূড়া ভাঙ্গিয়া না হইবে গুড়া
অঙ্কার যাইব রসাতলে রে।
সুখনিদ্রায় আছ তুমি রাজারে।
ভাণ্ডার হবে লক্ষ্মীশূন্য ওহে রাজা লক্ষ্মী যাইব ছাড়ি।
কাল বিয়ানে হইবা রাজা পন্থের ভিখারী॥
যারা তোরে আপনা বলে তারা হইব পরা।
ভাণ্ডার লুটিয়া লইব পন্থের সম্বল কড়া॥
না থাকিব পন্থের সম্বল কড়ারে।
সুখ নিদ্রায় আছ তুমি রাজারে॥
ধছমচাইয়া[১] উঠে রাজা চউখ মেলিয়া চায়।
কোন জনে ডাকিয়া কইলো কথা দেখিতে না পায়॥
সোণার মন্দিরে জ্বলে বাতি সোণালী পশরা।
ধীরে ধীরে সেই দীপ নিব্যা অন্ধকারা॥
“জাগো জাগো ওগো রাণী চক্ষু মেলি চাও।
সর্ব্বনাশ অইলো রাণী না দেখি উপায়॥
কি কালনিদ্রায় খাইলো রাণী তোরে আর আমারে।
পুরীতে আগুন লাগিল কে নিবাইতে পারে॥
অতিথি ফিরিয়া গেল বৈমুখ হইয়া।
ধনদৌলত গেল ত রাণী সায়রে ভাসিয়া॥
- ↑ ধছমচাইয়া=ধড়ফড় করিয়া, হঠাৎ ভয় পাইয়া ঘুম ভাঙ্গিলে যেরূপ হয়