“শুন শুন সুলারাণী না কান্দিহ আর।
তোমারে পাইলাম যুদি রাজ্যে নাই সে কাজ॥
বনেতে থাকিব মোরা বনের ফল খাইয়া।
কোন জনে পায় নিধি এমুন হারাইয়া॥
কোথায় জানি কাঠুরি মা বাপ কেমুন জানি আছে।
একবার যাইতে মনে তাহাদের কাছে॥
দুইজনে দেখা হইল সুখের সীমা নাই।
দুর্দ্দিন খণ্ডিতে আর বেশী বাকী নাই॥” (১—১৮)
(১১)
কথায়—
এদিকে সাত ভাই রাজার সাতপুত্র হয় রাগ। শীকার বিফল হইল। সাত ভাইর বদন কালি। কি লইয়া যাইব দেশে। চলতে চলতে দেখে কি এক দারাক বিরক্ষ। তার মুলে পাতাল ছইছে। ডাল পাতায় আসমান ছইছে।
তার নীচে বইয়া এক দেব আর দেবী। তাদের হমকে[১] সাতটা হরিণ। সাত ভাই জিজ্ঞাসা করে তোমরা কে? তখন রাজা কয়। তোমরা চিন্তা না[২]। ভালা কইরা দেখ। তখন তারা দেখল যে সেই অন্ধ মালী। আচানক ব্যাপার। অন্ধ সোণার মানুষ হইল কিরূপে। চক্ষুদান পাইল কোথায়! বনের দেবতা বুঝি দয়া করলো। সাত পাঁচ ভাব্যা চিন্ত্যা সাত ভাই কয়। আমরাত একটা হরিণও পাইলাম না। তুমি সাত পাঁচটা হরিণ পাইলা কোথায়, তখন সাত ভাই কি করিল।
গানে—
তখন সাত ভাইর কুবুদ্ধি হইল করিল চিন্তন।
শুধা হাতে গিরে ফিরি বল কিসের কারণ॥