(১২)
সেই দেশে আছিল রাজার ধোপা একজন।
তাহার আশ্রিত হইয়া রহিল পবন॥
ধোপানীরে কয় কন্যা ওগো ধর্ম্মের মাও।
ধুয়া কাপড় লইয়া তুমি রাণীর কাছে যাও॥
রাণীর কাপড় যত কন্যা যতনে ধুইল।
রোইদেতে শুকাইয়া কন্যা ভাজ যে করিল॥
ভাজেত রাখিল কন্যা ছিরি অঙ্গুট খানি।
কাপড় লইয়া তবে চলিল ধোপানী॥
সুলারাণী কহে ধোপানী কহত উত্তর।
এমন করিয়া কে ধুইল আজকের কাপড়॥
ভাজ খুলিয়া রাণী আঙ্গুট পাইল।
সেইত না আঙ্গুইট তবে রাজারে দেখাইল॥
রাজা কয় সুলারাণী শুন মোর কথা।
এই ছিরি অঙ্গুইট ভালা তুমি পাইলা কোথা॥
রাণী কয় ধোপানী যে কাপড় আনিল।
ভাজেতে পাইলাম আঙ্গুইট কোন্ জনে বা দিল॥
দাসী পাঠাইয়া রাজা ধোপানীরে ডাক্যা আনে।
ভয়ে কাঁপে ধোপানী কহিছে রাজার আগে॥
এক কন্যা ঘরে মোর লক্ষ্মী সরস্বতী।
নাহি জানি পরিচয় কোথায় বসতি॥
মাও ত বলিয়া কন্যা আমারে সুধায়।
শীতল কথায় অঙ্গ জুড়াইয়া যায়॥
তবেত তিলক রায় কোন্ কাম করে।
দোলা পাঠাইল রাজা কন্যা আনিবারে॥