(8)
পরথম যৌবন লো কন্যা পরথম বয়সে।
মেঘমতী নাম কন্যা চন্দ্র যেমুন হাসে॥
কি কব কন্যার রূপ কইতে না জোয়ায়।
যেই জন দেখে কন্যা করে হায় হায়॥
মেঘমতী নাম কন্যা মেঘের বরণ চুল।
মুখখানি দেখি কন্যার চন্দ্র সমতুল॥
সেজুতিয়া[১] তারা যেমুন জ্বলে দুই আঁখি।
রাঙ্গা রাঙ্গা দুই ঠোঁট সিন্দুরেতে মাখি।
হাসিলে কৌতুকে কন্যা পুরী সে উজলা।
গলায় শোভিছে কন্যার হীরা ফুলের মালা॥
পিন্ধনে পইরাছে কন্যা অগ্নি পাটের শাড়ী।
মাথার কেশ বাইন্ধাছে কন্যা নিয়া মুক্তাদড়ি।
নিছ্যা মুছ্যা লয় মায় চন্দ্রমুখ খানি॥
আদর কর্যা ডাকত মায় কন্যা জীরালনী॥
সেইত দুঃখিনী মাও গেছে বনবাসে।
এই দুঃখ পায় কন্যা পরথম বয়সে॥
সে সব বহুত কথা এই খানে রহিল।
রাত্রিকালে দেখ কন্যা কোন্ কাম করিল॥
জোড় মন্দির ঘর কন্যা একেলা শুইয়া।
সোণার পালঙ্কে রাখে হরিণ বান্ধিয়া॥
এক পর রাত্রি গেল কন্যার হায় যে হুতাশে।
দুই পর রাত্রিকালে কন্যা পালঙ্কেতে বইসে॥
তিন পর রাত্রিকালে কন্যা ভাবিয়া চিন্তিয়া।
শিঙ্গা হইতে লইল কন্যা কবচ খুলিয়া॥
- ↑ সেজুতিয়া=সন্ধ্যার।