ডাক্যনারে সোণার কুইল বাচ্চায় দেওরে উম।
তোমার ডাকে ভাইঙ্গা যাইব (আমার) সোণার কাঁচা ঘুম॥
শোন শোন বনের দইয়াল না দিওরে শিষ।
কাঁচা ঘুমে জাগলে সোণার মাথায় হইব বিষ॥
বিয়ান বেলার ভোমরারে কইয়া বুঝাই তোরে।
ফুলের ঘুম না ভাঙ্গাও তুমি গুনুর গুনুর সুরে॥
ফুলের মধু খাইয়া না ভোমর অঙ্গ তোমার তাজা।
কাঁচা ঘুম ভাঙ্গিয়া মনে নাইসে দিও দাগা॥
বাড়ীর পাছে বাঁশের ঝাড়ে নাচিছে খঞ্জনা।
বিভোলে শয্যায় পইরা ঘুমায় প্রাণের সোণা॥
তুই আঁখি মুদিয়া কন্যা বিভোলে ঘুমায়।
দুই আঁখি মেলিয়া মামুদ আলসে তাকায়॥
বসনে না ঘিরে অঙ্গ মামুদ ভাবে মনে মনে।
কি জানি ছুঁইতে গেলে ভাঙ্গে কাঁচা ঘুম।
মাথার কেশ আউলা ঝাউলা শয্যার তলে লুটে।
বিয়ানের বাতাসে কন্যার মধুনিদ্রা টুটে॥
বাহুটি শিথানে কন্যা শুইয়া নিদ্রা যায়।
ভাঙ্গাইতে না পারে মামুদ কি হইবে উপায়॥
ধীরে ধীরে পুষ্পের কলি ফুট্যা যেমন উঠে।
দুই নয়ান জড়াইয়া ঘুম আস্তে ব্যস্তে টুটে॥
দুই বাহুর আলিঙ্গনে সোণা নয়ন মেল্যা চায়।
লাজে রাঙ্গা হইল কন্যা সিন্দুরের প্রায়॥