পাতা:প্রজাপতির নির্বন্ধ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রজাপতির নির্ব্বন্ধ।
১৩৫

কি সকলে বুঝতে পারে? তাকে অবহেলা করে। আড়ম্বরেই লোকের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়।

 নির্ম্মলা। আপনি ঠিক কথা বলেছেন। বাইরের লোকে আমার মামাকে কেউ চেনেই না। বাইরের লোকের মধ্যে এতদিন পরে আপনার কাছে মামার কথা শুনে আমার যে কি আনন্দ হচ্চে সে কি বল্‌ব!

 শৈল। আপনার ভক্তিও আমাকে ঠিক সেই রকম আনন্দ দিচ্ছে।

 চন্দ্র। { উভয়ের নিকটে আসিয়া) অবলাকান্ত বাবু, তোমাকে যে বইটি দিয়েছিলেম সেটা পড়েছ?

 শৈল। পড়েছি, এবং তার থেকে সমস্ত নোট্ করে আপনার ব্যবহারের জন্যে প্রস্তুত করে রেখেছি।

 চন্দ্র। আমার ভারি উপকার হবে,—আমি বড় খুসি হলুম অবলাকান্ত বাবু। পূর্ণ নিজে আমার কাছে ঐ বইটি চেয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওঁর শরীর ভাল ছিল না বলে কিছুই করে উঠতে পারেন নি। খাতাটি তোমার কাছে আছে?

 শৈল। এনে দিচ্চি। (প্রস্থান)

 রসিক। পূর্ণ বাবু আপনাকে কেমন ম্লান দেখছি অসুখ করচে কি?

 পূর্ণ। না; কিছুই না! রসিক বাবু, যিনি গেলেন এঁরই নাম অবলাকান্ত?

 রসিক। হাঁ।

 পূর্ণ। আমার কাছে ওঁর ব্যবহারটা তেমন ভাল ঠেক্‌ছে না।

 রসিক। অল্প বয়স কি না সেই জন্যে―

 পূর্ণ। মহিলাদের সঙ্গে কি রকম আচরণ করা উচিত সে শিক্ষা ওঁর বিশেষ দরকার।

 রসিক। আমিও সেটা লক্ষ্য করে দেখেছি মেয়েদের সঙ্গে উনি ঠিক