মত অসভ্যটাকে তোরা সভ্য করলি—আজ ত স এখানে বস্বে, কি রকম ভাবে চল্ব শিখিয়ে দে?
নীরু কহিল―ফের, পুরোণো ঠাট্টা? তোমার ঐ সভ্য অসভ্যর কথাটা এই পর্শু থেকে বল্চ।
রসিক। যাকে জন্ম দেওয়া যায় তার প্রতি মমতা হয় না? ঠাট্টা একবার মুখ থেকে বের হলেই কি রাজপুতের কন্যার মত তাকে গলা টিপে মেরে ফেল্তে হবে। হয়েছে কি―যতদিন চিরকুমার সভা টিঁকে থাকবে এই ঠাট্টা তোদের দুবেলা শুন্তে হবে।
নীরু। তবে ওটাকে ত একটু সকাল সকাল সেরে ফেল্তে হচ্চে। মেজদিদি ভাই, আর দয়ামায়া নয়—রসিকদাদার রসিকতাকে পুরোন হতে দেব না, চিরকুমার সভার চিরত্ব আমরা অচিরে ঘুচিয়ে দেব তবেই ত আমাদের বিশ্ববিজয়িনী নারী নাম সার্থক হবে! কি রকম করে আক্রমণ করতে হবে একটা কিছু প্ল্যান ঠাউরেছিস্?
শৈল। কিছুই না। ক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে যখন যে রকম মাথায় আসে।
নীরু। আমাকে যখন দরকার হবে রণভেরীধ্বনিত করলেই আমি হাজির হব। আমি কি ডরাই সখি কুমারসভারে? নাহি কি বল এ ভুজ মৃণালে?
অক্ষয় ঘরে প্রবেশ করিয়া কহিলেন, অদ্যকার সভায় বিদুষীমণ্ডলীকে একটি ঐতিহাসিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা করি।
শৈল। প্রস্তুত আছি।
অক্ষয়। বল দেখি যে দুটি ডালে দাঁড়িয়েছিলেন সেই দুটি ডাল কাটতে চেয়েছিলেন কে?
নৃপ তাড়াতাড়ি উত্তর করিল, আমি জানি মুখুজ্জে মশায়, কালিদাস।