পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতিজ্ঞা-পালন । Sbrð “এখন নয়-হইব ।” “হইবেন বই কি-তা” না হ’লে আমাদের চলিবে কিসে ?” গোবিন্দরাম একটু নীরব থাকিয়া ধীরে ধীরে বলিলেন, “তবে আপনি অন্য কাহারও সম্পত্তি পুইবেন ?” বাবুটি রাগত হইয়া বলিলেন, “মিথ্যাকথা, কে তোমাকে সম্পত্তির কথা বলিল-আমি না-ই পাই, তোমার কি হে, বাপু ?” গোবিন্দরাম যেন খুব অপ্ৰস্তুত হইলেন, এরূপ ভাব দেখাইয়া বলিলেন, “না, তাহাই বলিতেছি। তবে এখন বিদায় হইতে পারি-আপুনিআপনার নামটা জানিতে পারিলে বোতলগুলা পাঠাইয়া দিতে পারি।” “আমার নাম—চমৎকাব নাম, শ্যামসুন্দর ; এই মদনমোহনের পাশাপাশি-সকলেই আমাকে জানে।” “অবশ্যই, আপনাকে কে না চেনে ?” “কালই যেন সব বোতল আসে।” “অবশ্যই আসিবে ।” “তবে এখনু অনুগ্রহ ক’রে দূর হও।” গোবিন্দরাম গমনোন্তত হইয়া দ্রার পর্যন্ত গিয়া ফিরিয়া দাড়াইলেন ; বলিলেন, “আপনারু জননীর মাতুল মহাশয় বড়ই মহৎ লোক ছিলেন।” শু্যামসুন্দর চক্ষু বিস্তৃত করিয়া বলিলেন, “আমার মা’র মামাকে তুমি কিরূপে চিনিলে ? বাবা, তুমি সবজান্ত দেখিতেছি।” গোবিন্দরাম বলিলেন, “আমাদের কারবার অনেক দিনের-তিনি আমাদের দোকান হইতে মাল লইতেন। আমাদের সাবেক খাতার প্ৰতি পাতায় তাহার নাম জ্বল জ্বল করিতেছে।” “বটে-বাটে-তবে তিনি নিশ্চয়ই মহৎ লোক ছিলেন-আজ যদি তিনি বেঁচে থাকতেন, তবে ত তিনি আমার প্রধান ইয়ার।”