পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

。ऊिख्0-2व् | N962 নিশ্চয় তাহারা লাল দেখাইবে, গাড়ীও থামিবে, কোন ক্ষতি হইবে না, কেবল আমার চাকরী যাইবে, তাহা যাকু, আমার লীলা ত বঁচিবে। তবে তাহাই করি ।” গোপাল পয়েণ্ট ফিরাইতে যাইতেছিল, এমন সময়ে ষ্টেশন হইতে বংশীধ্বনি হইল। সে ধবনি তীক্ষ তীরের ন্যায় গোপালের কৰ্ণে প্ৰবেশ করিল। তখন গোপাল বুঝিল, ষ্টেশন হইতে হুগলীর গাড়ী ছাড়িয়াছে। হায়, আর বুঝি রক্ষণ হইল না । সে যে অপর লাইনে ডাকগাড়ী দিতেছিল, সেই লাইন দিয়াই হুগলীর গাড়ী আসিতেছে। পয়েণ্ট একটু ঘুরাইলে দুই গাড়ীতে সংঘর্ষণ হইবে, এক নিমেষে। . চুৰ্ণবিচূর্ণ হইয়া যাইবে, সহস্ৰ সহস্ৰ লোক হঠাৎ মৃত্যুমুখে পতিত হইবে। এই সময়ে দুই দিক হইতে দুই গাড়ীর বঁাশী বাজিয়া উঠিল; তখন গোপালের মাথায় ঘোরতর বিপ্লব উপস্থিত হইল ; সে পাযাণের মত হইয়া গেল, সে সব ভুলিয়া গেল—এমন কি নিজেকেও। উভয় দিক হইতে উভয় গাড়ীর তীব্ৰ বংশীধ্বনি গোপালের কর্ণে যেন বিকটম্বরে বলিল, “এই সকল নরনারী তোমার কি করিয়াছে যে, তুমি ইহাদের হত্যা করিতে যাইতেছ? এ মহাপাপের প্রায়শ্চিত্ত নাই ; গোপাল, সাবধান ।” “হা ভগবানা-না-না-এ কাজ আমি কিছুতেই পারিব না।-- মরে, আমিও এইরূপে মরিবি, সব ফুরাইয়া যাইবে। লীলা--” এই কথাগুলা গোপালের উন্মত্ত বিচঞ্চল মস্তিষ্কে বারেক চকিতে উদয় হইল মাত্র। তখন তাহার মস্তিষ্কে প্ৰবল ঝটিকা বহিতেছে। সে দৃঢ় হন্তে সবলে পয়েণ্ট চাপিয়া ধরিল, মহাবেগে রুষ্ট প্ৰকাণ্ড স্লাৱণ্য জন্তুর মত ডাকগাড়ী নিজের লাইন ধরিয়া তীরবেগে বাহির হইয়া গেল । স্কন্সাজ বুঝি, ক্ষুদ্র লীলার রক্তেই শত শত লোকের প্রাণরক্ষা হইল। 邻一@“