বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-88 নিজেকে নিজেতে স্তম্ভন বা সংহরণ করিয়া দুৰ্দ্ধৰ্ষ ও দুর্বিজ্ঞেয় কামরূপ শত্রুকে মারিয়া ফেল ।” ৩৩৭ শ্লোকে ‘রজোগুণ কথা আছে। ইহার অর্থ পরে বিচার বিএ কঠের অষ্টম বল্লীর ৭৮ শ্লোক গীতার ৩৪২-৪৩ শ্লোকের অতুরূপ, যথা :– “ইগ্রিয়েভা পরং মনে মনসঃ তামুত্তমম্ সত্বাদধি মহানায়া মহতোহব্যক্তমুত্তমম্ ॥ অব্যক্তাত্ত, পর পুরুষে ব্যাপকোহলিঙ্গ এব চ। र छांचा भूझाप्ड छख्द्रशृङङ्ग* गव्हछि ॥” “ইক্রিয়সমূহ হইতে মন শ্রেষ্ঠ, মন হইতে সত্ত্ব অর্থাৎ বুদ্ধি শ্রেষ্ট, সত্ত্ব হইতে মহৎ অধিক, মহৎ অর্থাৎ মহান আত্মা হইতে অব্যক্ত শ্রেষ্ঠ | অব্যক্ত হইতে ব্যাপক এবং অশরীর পুরুষ শ্রেষ্ঠ ধাহাকে জানিয়া জীব মুক্ত হয় এবং অমৃতত্ব প্রাপ্ত হয়।” শ্ৰীকৃষ্ণ এ যাবৎ বুদ্ধিরই শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপাদন করিয়াছিলেন—“বুদ্ধে। শরণমন্বিচ্ছ” ইহাই তাহার উপদেশ। বুদ্ধি নিশ্চয়াত্মিক মনোবৃত্তি এবং এইজন্যই তাহা বিশেষ বিশেষ কর্শ্বের নিয়ামক। সমস্ত কৰ্ম্মই বিষয়াশ্রিত এবং পূৰ্ব্বে বলিয়াছি বিষয়ঙ্কান অব্যক্ত কামনা হইতে উৎপন্ন। এই কারণেই বলা হইয়াছে বুদ্ধি কামের অধিষ্ঠান। এই বুদ্ধিকে কামনা হইতে মুক্ত করা যায় না, কিন্তু ইহাকে প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩৮ [७s* छां★, २घ्न थ७ ব্যবসায়াত্মিক করা যাইতে পারে ও তখন এই বুদ্ধির দ্বারা আত্মজ্ঞান লাভ হয়। আত্মজ্ঞানই চরম সাধন, ব্যবসায়াত্মিক বুদ্ধি সিদ্ধিলাভের উপায় মাত্র। এই জন্তই বলা হইল বুদ্ধি অপেক্ষ আত্মা শ্রেষ্ঠ। আত্মজ্ঞানই কাম-জয়ের উপায়। ৩৪১ শ্লোকে ‘জ্ঞান ও বিজ্ঞান’ শব্দ আছে। শঙ্কর বলেন—“জ্ঞান’ অর্থে শাস্ত্র তর্ক যুক্তি সিদ্ধ জ্ঞান ও বিজ্ঞান অর্থে অস্বভবসিদ্ধ বিশেষ জ্ঞান। অধুনা বাংলায় বিজ্ঞান’ শব্দ যে-অর্থে ব্যবহৃত হয় অনেকে বিজ্ঞানের তাহাই যথার্থ অর্থ বলেন। আমার মতে প্রত্যক্ষ ও অনুভবসিদ্ধ প্রতীতিকে জ্ঞান বলা হইয়াছে এবং সেই জ্ঞান যখন যুক্তি, তর্ক, বুদ্ধি, বিচার ইত্যাদির দ্বারা পরিপুষ্ট লাভ করে তখন তাহ বিশেষ জ্ঞানে বা বিজ্ঞানে পরিণত হয়। সপ্তম অধ্যায়ে দ্বিতীয় শ্লোকে বিজ্ঞান কথা আছে, সেখানে এই অর্থই পরিস্ফুট হইবে। গীতায় অন্যত্র ও উপনিষদে সৰ্ব্বত্র বিজ্ঞান শব্দের .এই অর্থই সমীচীন। বাংলায় পদার্থ-বিজ্ঞান ইত্যাদি শব্দ যথোপযুক্ত, কারণ এই সকল শাস্ত্রে প্রত্যক্ষ জ্ঞান যুক্তি বিচার দ্বারা পরিস্ফুট *atts I Science s Philosophy íèãè fùsfa , কৰ্ম্মযোগ নামক তৃতীয় অধ্যায় সমাপ্ত প্রায়শ্চিত্ত শ্ৰীমুজিতকুমার মুখোপাধ্যায় হঠাৎ আমাদের পাশের গ্রামের একজন বিলাত ঘুরে এল। সমস্ত গ্রামে স্থলস্থূল ব্যাপার । জাত গেল—ধৰ্ম্ম গেল— ফুল গেল—সব গেল! পণ্ডিত-মহলে বড় বড় মজলিস বসতে লাগল। হিন্দু ধর্মের ক্যাশিয়ারদের চোখে আর ঘুম নেই! ভদ্রলোকটির পরিবারবর্গকে ত ইতিপূর্বেই একঘরে করে রাখা হয়েছিল, কিন্তু এখন আর তাতেও স্বস্তি নাই ; བཱ་ཡཱས་ মগজ হ’তে ধৰ্ম্মরক্ষার আরও নূতন নূতন পন্থা হ’তে লাগল। কিন্তু কিছুতেই বিলাতফেরৎ জন্ম হয় না। বেশ স্বচ্ছন্দেই তার দিন কেটে যাচ্ছে। তখন পণ্ডিতদের প্রাণে দয়ার সঞ্চার হ’ল । “তাই ত! গ্রামের মধ্যে একটি ভদ্রপরিবার একঘরে হয়ে থাকৃবে—এ কি সওয়া যায় ! আহা ! বেচারীকে শীঘ্র প্রায়শ্চিত্ত ক'রে সমাজে তুলে নেওয়া হোক ।” তখনই তারা নিজেরাই বিলাতফেরতের বাড়ি গিয়ে উপস্থিত ; বললেন—“বাবা, যা হবার হয়ে গেছে এখন প্রায়শ্চিত্ত ক’রে জাতে উঠ ।*