বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ করিয়া কিছুষ্ট বলিতে পারে নাই—পরমাণু অবিভাজ্য এবং বিভিন্ন পদার্গের পরমাণু বিভিন্নধৰ্ম্মী ইগষ্ট ছিল পুরাতণ স্বতঃসিদ্ধ মত। উনবিশ শতাব্দাব শেষ ভাগে সার উইলিয়ম্ ক্র কুস্, রানটগেন প্রভৃতি পণ্ডিতের। দেপাইয়াছিলে । সে স্বল্পবায়ুবিশিষ্ট একটি কfচ গোলকের মধ্যে বলশালী তাড়িতোশ্মি প্রবেশ করাইয় দিলে অন্তঃস্থিত বায়বীয় অণুসমূহ সূক্ষ্ম স্তাড়িতকণিকায় বিশ্লিষ্ট হইয়া ভীষণ বেগে পরিচালিত হয়। এই স্বশ্ব তাড়িতকণিকাগুলিষ্ট ইলেক্ট্রন নামে অভিষ্ঠিত হয় । বিভিন্ন বস্তু হইতে সঞ্জাত হইলেও এই কণিকাগুলির ভার এবং অন্তঃস্থিত তড়িতের পরিমাণ একই থাকে । ইহা হইতে অহমান করা কি অসঙ্গত যে, সকল পরমাণুই ইলেক্ট্রনের সমষ্টি মা ! ! এষ্ট প্রসঙ্গে লল আবিষ্ঠক যে তাড়ি" . শক্তির দুষ্টট বিপরীত ধৰ্ম্মী প্রকৃতি সহিত আমর। পরিচিত—এই উভয়বিধ তড়িং সম-পরিমাণে একত্র অবস্থান করিলে, পদার্থে বিদ্যুতের অস্তিত্ব অনুভূত হয় না। ইংরেজীতে এই দুই প্রকার তড়িংকে সংযোগ ( পজিটভূ ) ও বিয়োগ ( নিগেটিভ, ) তড়িৎ নামে অভিহিত করা হয় । যেহেতু সমগ্র পরমাণুটিতে তাড়িতশক্তি অবর্তমান এবং পরমাণু এক শ্রেণীর বৈদ্যুতিক কণিকা দ্বারা গঠিত, মৃতরাং ইহাই অকুমান করা স্বাভাবিক যে পরমাণুমধ্যে উভয়বিধ তড়িৎ সম-পরিমাণে অবস্থিতি করিতেছে । এই ভাবে . পরমাণুর বৈদ্যুতিক প্রকৃতির পরিকল্পনা না করিলে পরমাণু-মধ্যে সংযোগ অথবা লিয়োগ তাড়িতের আতিশধ্য থাকিয়া যায় এবং সমগ্র পরমাণুটিকে আর বিদ্যুদ্ধিহীন বলা চলে না। পরমাণুর এই বৈদ্যুতিক প্রকৃতির বিষয় প্রথম প্রকাশ করেন, প্রসিদ্ধ ইংরাজ পদার্থতত্ত্ববিং সৗর জে, জে, টমসন। টমসন দেপাইলেন যে বিযোগ তড়িংস"যুক্ত এই ক্ষুদ্র কণিকাগুলির ভার নিতান্তই অল্প—১৭৬০টি ইলেক্ট্রন একত্র করিলে তবে লঘুতম পরমাণু হাইড্রোজেন পরমাণুর সমকক্ষ হয়। টম্সন প্রতিভাসম্পন্ন পদার্থশাস্ত্রবিং-সুতরাং গণিত-শাস্ত্রে তাহার শ্রদ্ধ অসাধারণ । নান। যুক্তি জাল বিস্তার করিয়া সূক্ষ্ম হিসাব করিয়া তিনি দেখাইখ দিলেন সে পৰমাণু গোলকের মধ্যে সংযোগ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড তড়িং সমভাবে সৰ্ব্বত্র পরিব্যাপ্ত হইয়া রহিয়াছে আর ইগরই ভিতর বিয়োগ-তড়িৎ-সংযুক্ত কণিকাগুলি চতুর্দিকে নানা ভাবে মবিশ্রান্ত ঘুরির বেড়াইতেছে। ভিন্ন ভিন্ন পরমাণুর . বৈশিষ্ট্যই এই যে প্রত্যেকটির মধ্যে বিভিন্নসংখ্যক তড়িং ক্ষণ ভিন্ন-ভিন্নরূপে চারিদিকে ধাবিত । পরীক্ষা-মূলক গবেষণার সম্মুণে কিন্তু টমসনের এ গণিতশাস্ত্রাঙ্গুমোদিত পরমাণু টিকিতে পারিল নী---টম্সনের বিরুদ্ধে যিনি প্রথম প্রকাগু যুদ্ধ ঘোষণা করিলেন তিনি টমসনের প্রিয়তম শিষ্ট রাদারফোর্ড, । , রাদারফোর্ডের নাম এখন শুধু ইংলণ্ডে আবদ্ধ নহে। র্যাডিয়ো-আকৃটিভিটি শাস্ত্রের জন্মদাতা বলিয়া রাদারফোর্ড এখন বিশ্ববিখ্যাত। এই গুরুশিষ্যের নিকট পদার্থশাস্ত্র নে কি-পরিমাণে ঋণা তাহ নির্দেশ করিবার সময় এখনও আসে নাই তবে একথা নিঃসঙ্কোচে বলা যাইতে পারে যে প্রাকৃতিক বিজ্ঞ’ | হেলমহোলংস্কৃ, ফ্যারাডে, কেলভিন বা ম্যাক্স পােলের স্থান যেখানে ইহাদের স্থান তাহা অপেক্ষা নিয়ে নহে। রাদারফোর্ড বলিলেন পরমাণুগোলকের মধ্যে টম্সন সংযোগ-তাড়িতের যে সমবিভাজ্যতার পরিকল্পনা করিয়াছেন তাহা সম্ভবতঃ সত্য নহে পরমাণু গোলকের মধ্যে এমন একটি বিন্দু বিদ্যমান যাহাঁতে পরমাণর সমগ্র সংযোগ-তড়িৎ সঞ্চিত হইয়া রহিয়াছে। রাদারফোর্ড আরও বলিলেন যে এই বিন্দুমধ্যেই (নিউক্লিয়াসে) পরমাণর সমস্ত ভার জড়ীভূত হইয়া রহিয়াছে ; বাহিরের ইলেকট্রনগুলি, যাহার সৌর জগতের গ্ৰহ-উপগ্রহের ন্যায় এই বিন্দুকে বেষ্টন করিয়া নিজ নিজ নিদিষ্ট কক্ষে পরিভ্রমণ করিতেছে তাহার। পরমাণুর ভারের জন্য দায়ী নহে। স্বতরাং দেখা যাইতেছে যে তডিতের যে দুই বিভিন্নরূপের সঙ্গে আমাদের পরিচয় আছে •াহাদিগের মধ্যে একটিই বস্তুতে তাহার অতি পরিচিত ধৰ্ম্ম 'ভার’ আরোপ করিতেছে! কথাট প্রথমে রহস্যপূর্ণ মনে হইতে পারে কারণ বহু বৎসর পূৰ্ব্বে কেলভিন প্রভৃতি পণ্ডিতের প্রমাণ করিয়া গিয়াছেন যে বিশাল অাঁকাশ সমুদ্রে যে ঈথর-তরঙ্গের উৎপত্তি হইতে তেছে তাহারাই কতকগুলি বিদ্বৎস্যষ্টির জন্য দায়ী। এ ঈথব ভবঙ্গের সঙ্গে “ শর” বা অন্য কোন বস্তু-ধর্মের কি হইতেছে ।