পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مو{(S لا .মোহানী, ইত্যাদি । ইহার মানে এ নয়, যে, ইহঁার তাকেই ভারতবর্ষকে আজই স্বাধীন করিতে চান ব। করিবার আশ" করেন । শেষ পৰ্য্যস্ত র্তাহার কি চান, তাহাই তাহার খুলিয়া বলিয়াছেন । হয়ত সবাই তাই চান, কেবল স্ববুদ্ধি-বশতঃ মুখ ফুটিয়া বলেন না। অবশ্য এমন লোকও অনেক দেখা যায়, যাহার কল্পনাই করিতে পারেন না, যে, ভারতীয়ের। কখন স্বাধীনতা লাভ ও রক্ষ। করিবার পক্ষে যথেষ্ট একতা শক্তি ও সৰ্ব্ববিপ যোগ্যতা লাভ করিতে পারিবে । ঠিক কোন পথ অবলম্বন করিলে ভারতবর্ষ স্বাধীন হইতে পারিবে, এবং সম্ভবতঃ কথন স্বাধীন হইবে, তাহা বলিবার ক্ষমতা আমাদের নাই। কেবল নিজের মনের কথা এইটুকু বলিতে পারি, যে, সম্পূর্ণ স্বাধীনতাই চাই, তার চেয়ে কম কিছু নয়। ইংরেজের শাসন ভাল নয়, অতএব স্বাধীনত চাই ;—আমাদের যুক্তিমাৰ্গ এরূপ নয়। কেহ যদি সত্য সত্যই প্রমাণ করিয়া দেন, যে, ইংরেজশাসন উৎকৃষ্টতম, তাহা হইলেও স্বাধীনত চাই । কারণ, “মানুষ” বলিতে এমন একটি প্রাণী বুঝায়, যে নিজে সমান পদবীতে আরূঢ় আর দশ মামুষের সঙ্গে মিলিয়। মিশিয়া নিজের সব কাজ করিতে সমর্থ। এই সামর্থ্যেরই নাম স্বাধীনতা । যে জাতি নিজে নিজের সব কাজ করিতে পারে না, তাহারা মানুষের জাতি নহে । ঠিক কোন পথ অবলম্বন করিলে ভারতবর্ষ স্বাধীন হইতে পারিবে,তাঙ্গ বলিতে নপারিলেও, স্বাধীনতা লাভ কিরূপ অবস্থার উপর নির্ভর করে, তাহা বুঝিতে ও বলিতে আমরা সবাই পারি। প্রথম অবস্থা এই, যে, দেশের সকলের কিম্বা অন্ততঃ অধিকাংশের বা সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রভাবশালী দলের মনে স্বাধীনতা-লাভের ইচ্ছা অন্য সব ইচ্ছা অপেক্ষা প্রবল হইবে । দ্বিতীয় অবস্থা এই, যে, এই প্রভাবশালী দলের নির্দিষ্ট উপায় বা পস্থা বা প্রণালী সম্বন্ধে সকলে একমত না হইলেও, অধিকাংশ লোক ব৷ সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রভাবশালী দল তাহার অনুসরণ করিবে ; জাতঃ, ইহা ত চাইই, যে, এত লোক তাহার বিরুদ্ধাচরণ করিতে পরিবে না, যাহাতে তাহা ব্যর্থ হইয়া যায়। অসহযোগ প্রচেষ্টায় ষে উপায় বা কাৰ্যপ্রণালী প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড । নির্দিষ্ট হইয়াছিল, তাহার কোন সমালোচনা করা, এখন আমাদের অভিপ্রেত নহে। কিন্তু তাহ সফল না হইবার কারণ এই যে, আমরা যেরূপ অবস্থার কথা বলিয়াছি, দেশে সে অবস্থা উপস্থিত হয় নাই। সমূদয় বা অধিকাংশ ছাত্র স্কুল কলেজ ত্যাগ করে নাই, এবং যাহারা করিয়াছিল, তাহাদেরও অধিকাংশ আবার ফিরিয়া আসিয়াছিল ; দেশের অতি অল্পসংখ্যক লোকই আইনের ও সরকারী আদালতের সাহায্য জওয়া হইতে বিরত হইয়াছিল বা হইয়াছে, প্রধান অসহযোগীরাও কোন কোন বিষয়ে আইনের ও সরকারী কোন কোন কাৰ্য্যবিভাগের সাহায্য লইয়াছেন ; অতি অল্পসংখ্যক উীল ব্যারিষ্টার আইন-ব্যবসা ছাড়িয়াছিলেন,—যাহারা ছাড়িয়াছিলেন, তাহাদেরও অনেকে আবার তাহা করিতেছেন ; দেশের অধিকাংশ লোক খন্দর প্রস্তুত করা দূরে থাক্, খন্ধর ব্যবহারও করে নাই, এবং স্বয়ং মহাত্মা গান্ধী ছাড়া অন্য অসহযোগীরা চরকায় স্থত কাট ও তাতে কাপড় বোন। অপেক্ষ তৎসম্বন্ধে বক্তৃতা বেশী করিয়াছেন ; অস্পৃশ্যতায় বিশ্বাস কাৰ্য্যতঃ ত্যাগ এবং কাৰ্য্যতঃ তাহ দূরীকরণের চেষ্টা অপেক্ষ তদ্বিষয়ে বক্তৃতাই বেশী হইয়াছে ; হিন্দুমুসলমানের ঐক্যও বেশী পরিমাণে স্থাপিত হয় নাই ; ইত্যাদি । এই-সমস্ত বিষয়ে কাজ চালাইতে বলা হইয়াছিল । তাহার পর, ভবিষ্যতে আবশ্বক হইলে, ট্যাক্স, ন দেওয়া, এবং সৈনিক-বিভাগে, পুলিশ-বিভাগে এবং অন্যান্য সমুদয় সরকারী কাৰ্য্য-বিভাগে চাকুরী না করা, এই দুটি উপায়ও অবলম্বিত হইবার কথা ছিল। ট্যাক্স না দিবার মত জাতির মনের ভাব ও দেশের অবস্থা ইয়াছে কি না, স্থির করিবার নিমিত্ত এক কংগ্রেস-কমিটি সব প্রদেশে বেড়াইয়া স্থির করেন, যে, মনের ভাব ও অবস্থা উহার অমুকুল নহে। সৰ্বকারী চাকুরী না করা সম্বন্ধে বিবেচনারও প্রয়োজন অনুভূত হয় নাই ; কারণ, ইহা সবাই জানে যে, মাহিনার চাকরের ত কথাই নাই, গবর্ণমেন্টের অবৈতনিক চাকুরী. করিবার লোকও দেশে যথেষ্ট । রহিয়াছে। * আমরা আগে বলিয়াছি, স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ কোন