পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

24 και o গ্রীষ্মের ছুটি ও ছাত্রদের কর্তব্য লোকহিতকর যা-কিছু কাজ, ছাত্রের যুবকের করুক, আর আমরা দিব্য আরামে কাল কাটাই, এরকম মনের ভাব আমাদের কোম কালে ছিল না, এখনও নাই । কেহ নিজে যাহা করিতে ইচ্ছুক নহেন, অন্তকে তাহী করিতে বলা তাহার উচিত নয় । আমাদের বয়সোচিত কাজ ও পরিশ্রম করিতে আমরা ইচ্ছুক বলিয়া যুবকদিগকেও আমাদের মনের অভিলাষ কিছু বলিতেছি । পৃথিবীর বহু দেশে স্লিউথ মুভমেন্ট” বা “তরুণদের প্রচেষ্টা” নামক এক বিশাল প্রচেষ্টা ভিন্ন ভিন্ন নামে নিজের প্রভাব ও কাৰ্য্যক্ষেত্র বিস্তার করিতেছে। এই প্রচেষ্টার মুলীভূত কারণ এই, যে, আগেকার লোকের, বৃদ্ধেরা, প্রৌঢ়েরা, পৃথিবীর কাজ, দেশের কাজ, যেভাবে করিয়াছিলেন, তfহাতে “সভ্যতম” ও প্রবলতম দেশসকলও ধ্বংস-মুখে প্রায় উপস্থিত হইয়াছে ; তরুণের নব আলোক দেখিয়া নুতন করিয়া মানবসমাজের কাজ করিতে চান । দুষ্টান্ত স্বরূপ বলা যায়, আগেকার যুগে লোকে মুখে যাহাই বলুক, দেশহিতৈষিতার মানে এই ছিল, বৈধ অবৈধ যে উপায়েই হউক নিজের দেশকে ধনশালী ও শক্তিশালী করিতে হইবে । তাহাতে পরা রক্তাক্ত হইয়াছে। এবং ঐ নীতির অনুসরণ করায় বাস্তবিক যে কোনও দেশের সব লোক পনী ও ক্ষমত|শালী হইয়াছে, তাহা ও নহে ; কতকগুলি লোক মাত্র ধনী ও ক্ষমতাশালী হইয়াছে । একট। দৃষ্টাস্ত দিতেছি । গত মহামুদ্ধের ফলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য আগেকার চেয়ে বিশালতর হইয়াছে। কিন্তু ব্রিটিশজাতির সব লোকের সুবিধা হয় নাই। লক্ষ লক্ষ বেকার লোককে রাজকোষ হইতে মাসহার দিয়া বঁাচাইয়া রাখা হইয়াছে ; ধৰ্ম্মঘট ত লাগিয়াই আছে । লক্ষ লক্ষ লোক প্রায় গৃহহীন অবস্থায় কাল কাটায়। তাহার ফলে ইংলণ্ডে এক সরকারী কমিটি সতের লক্ষ বাড়ী নিৰ্ম্মাণের এক প্রস্তাব পেশ করিয়াছেন । শ্রমজীবীর ও তাঁহাদের নিয়োগকৰ্ত্তার। চায় তার চেয়েও বেশ ; তার চায় পচিশ লক্ষ বাড়ী । এখানে একটা অবাস্তর কথা বলি। বাংলার ব্যবস্থাপক সভায় সরকার পক্ষ হইতে শ্ৰীযুক্ত গুরুসদয় দত্ত বলিয়াছিলেন, যে, জল সরবরাহ করা গবর্ণমেণ্টের কাজ নয় । কিন্তু বিলাতে গবৰ্ণমেণ্ট যে লক্ষ লক্ষ লোককে অনেক বৎসর করিয়া অন্নবন্ধ যোগাইতেছেন, এবং এক্ষণে " ঘরবাড়ী ও সরবরাহ করিতে যাইতেছেন, সে বিষয়ে তিনি কি বলেন ? ' o যাহা হউক, আমরা বলিতে যাইতেছিলাম, আগেকার যুগে যাঙ্গকে পৃfাষ্ট্ৰীয়টি ম্ বা 'স্বদেশপ্রেম বলা ইষ্টত, প্রবাসী—বৈশাখ, లిలి) ২৪শ ভাগ, ১ম સંહ তাহাতে দেশে দেশে ঝগড়া বিবাদ ও বিদ্বেষ এবং যুদ্ধ ঘটিয়াছে, এবং প্রত্যেক দেশের মধ্যেও শ্রেণীতে শ্রেণীতে বিরোধ লাগিয়া আছে। অতএব, মানবসমাজের কাজ মৃণ্ডন নীতির ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করিতে হইবে । জগতের তরুণরা ইহা করিবেন । “তরুণ প্রচেষ্টা”র সর কথা এখানে আমরা বলিতে চেষ্টা করিব না । ইহার উল্লেখ করিলাম, কেবল ইহাই দেখাইবার জন্ত, যে, কেবল বঙ্গদেশেই তরুণবয়স্ক পুরুষ ও নারী উভয়ের উপর মানবের ভবিষ্যং গড়িবার গুরুভার অপিত হয় নাই, অন্যত্রও হইয়াছে ; অথবা, ঠিক বলিতে গেলে, অন্যদেশের তরুণের ঈশ্বরের প্রেরণায় স্বয়ং সেই গুরুভার স্বেচ্ছায় গ্রহণ করিয়াছেন । বঙ্গের তরুণ সম্প্রদায় মহংভাবের প্রেরণায় কাজ করিতে অভ্যস্ত । র্তাহারা যে সত্য বা ভ্রান্ত পথের পথিক হইয়া প্রাণ দিতে পারেন, তাহাও দেখা গিয়াছে। আমরা আগেই বলিয়াছি, পাশ্চাত্য জাতির দেখিয়াছে, যে, বিদ্বেষের পথে, পরস্পরকে বিনাশের পথে কল্যাণ নাই ; অথচ তাহার। দেখিয়াও দেখিতেছে না । আমরা যেন সে পথ পরিচার করি । দেশে দেশে বন্ধুত্ব, জাতিতে জাতিতে বন্ধুত্ব, শ্রেণীতে শ্রেণীতে বন্ধুত্ব, ইহাই নবযুগের বাণী । কতকগুশি বয়ঙ্গ লোক অহংকেন্দ্র লোকদের মধ্যে চাকুরীর ও সম্মানের পদের ভাগ বথর করিয়া দিয়া তাঙ্গার উপর স্বরাজের ভিত্তি স্থাপন করিতে চান ! চাকুরীর সংখ্য সীমাবদ্ধ ; এবং যাহার বেতন বা মজুরী ন। পাইলে কাজ কথন করেন নাই, তাহার বেতন পাইলেও দেশের সেব| অপেক্ষ বেতনপ্রাপ্তিটাকেই বড় করিয়া দেখিবেন । অন্য দিকে অবৈতনিক সেবার অন্ত নাই, সীমা নাই। উহার মহত্ত্বেরও অবধি নাই। পৃথিবীর মধ্যে কাহার বেশী বেতন পাইয়াছিল, তাহদের, কথা কে ভাবে ? কিন্তু পুথিবীর অবৈতনিক সেবকদের প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধার বিরাম নাই, সীমা নাই ; তাঙ্গাদের শক্তির অস্ত নাই । তাহারাই মানব-হৃদয়েম উপর রাজত্ব করিতেছেন। তরুণ সম্প্রদায় যেন অবৈতনিক লোক, সেবার ডাকই শুনেন ; সেই সেবা কে কত করিবে, ওtহারই প্রতিযোগিতা পড়িয়া যাক । এই সেবাই স্বরাজ । - ইতিপূৰ্ব্বে দেশের কোন কোন অভাব সম্বন্ধে কিছু বলিয়াছি । তাহার একটির বিষয় আর-একবার বলি । নারীর উপর অত্যাচারের প্রাচুর্ভাব বাংলা দেশে অত্যক্ষ বাড়িয়াছে । অন্ত কোন প্রদেশের সংবাদপত্রে এরূপ সংবাদের বাহুলা দেগিতে পাই ন! ! বাঙালীর