বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፶ዓe “আমি বল্‌লেম-“বিবাহ করেননি ?” সে বললে—“না।” আমি বললেম—“তার কোনও পেয়েছিলেন ?" সে বললে—“ভালবাসার পাতায় লেন-দেনার হিসাবনিকাশ নেই। কোমলত সৌন্দৰ্ঘ্য পবিত্রতার ঘে মূৰ্ত্তি আমার চোখে তাক রয়েছে তাই কি যথেষ্ট স্মৃতিচিঙ্গ .नञ्च ?.. অনেক সময় ভাবি তার স্মৃতির প্রতি আমার এ আকর্ষণ কি পাপ ? কিন্তু আমার অন্তর বলে, রক্তমাংসের দেহটাকে বাদ দিয়ে যে ভালবাস তা ত এ পৃথিবীর কিছু নয়, উপভোগেচ্ছাটাকে ঘিরেই কালিম, ঐটাকে সরিয়ে দিতে পারলেই চাদের আলে| ”. সে দূরের আকাশটার পানে চাইলে, মেঘগুলে। তখন গায়ে বিচিত্র রং মেখে প্রজাপতির মত নীলের দেশে ছুটোছুটি করছিল। আমার বুক অপূৰ্ব্ব শ্রদ্ধার ভারে গুয়ে পড়ছিল । ছবিগানি নামিয়ে রেগে আস্তে আস্তে বাড়ী ফিরে’ এলাম • • • স্ত্রীর প্রতি অপর পুরুষের আকর্ষণের কাহিনী বোধ করি এম্‌নি নীরবে কেউ কখনো সয়নি। কিন্তু আমার মনে হ’তে লাগ ল তা মহান ভালবাসার কথl,–এ যেন এক পূজারীর প্রাণ ঢালা নীরব পুজা । তাকে সে পায়নি, পাবার আশ নেই জেনেও তার প্রেম এতটুকু শ্লথ হয়নি । আর আমার ? কি তরল, অগভীর । তার কথাট। আমার কানে ঘুরঘুর করতে লাথ ল--- স্মৃতি-চিহ্ন আপনি లలు [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড "উপভোগেচ্ছাটাকে ঘিরেই কালিম ঐটে সরিয়ে দিতে পারলেই চাদের আলো।” কত বড় কথা ! এ-কথাটা বুঝলে কি আবার বিয়ের কল্পনা মনে স্থান দিতেম! অন্তরকে আর চোখ ঠেরে ঠকান চলল না, আজ যে কষ্টিপাথরে আমার প্রেম কষা হ’য়ে গেছে।. আজ বুঝতে পেরেছি কি ন'চ এই পুরুষজাতটার প্ৰেম ! মনে হচ্ছে, স্ত্রীর কাছে প্রেম-নিবেদন আমাদের অন্তরের কথা নয়, তার ধৌবনের কাছে স্তুতি বাক্য । ড্রয়ার টেনে কাগজ বার ক’রে বন্ধুর কাছে চিঠি লিখলেম—মূতন বিয়ের সম্বন্ধ ভেঙে ফেলতে । লতিকার একখানি ফোটো ও আমার কাছে ছিল না । একবার ইচ্ছা হ’ল অরুণ-বাবুর কাছ থেকে নিয়ে আসি ; কিন্তু ভেবে দেখলেম আমার চেয়ে তিনিই এর যোগ্যতর অধিকারী । পেয়ে যে হারিয়ে ফেলেছে তার চেয়ে, নাপেয়েও ধে হারায়নি তার দাবী যে ঢের বেশী একথ। অস্বীকার করুবার ক্ষমতা কারু নেই, এবং মৃত্যুর ওপার অবধি দি প্রেমের সূক্ষ্ম আকৰ্ষণ থাকে তা হ’লে পরজন্মে তার তার আমার ভিতর লতিকার উপর কার বেশী দাবী সে-কথা মীমাংস করতে দেরী হ’ল ন! l. লতিকার মৃত্যুর দিনে মনটা ধেমন আলোড়িত হয়েছিল, আজকেও তেমনি হ’ল । সেদিন হয়েছিল মৃত্যু তাকে কেড়ে নিয়েছে বলে’, আর আজ হ’ল অরুণ তাকে জয় করেছে বলে’ । একজন তাকে কেড়ে নিয়েছিল হত্য করে’, আর একজন কেড়ে নিয়েছে ভালোবেসে ; কিন্তু আজ দ্বিতীয়টি যেন আমায় চাবকে দিচ্ছিল ।. * শ্ৰী প্রফুল্লচন্দ্র বস্থ হায়দারাবাদ-নগর সংস্কার দাক্ষিণাত্যের হায়দরাবাদ "নগর-সংস্কার সমিতির” ( সিটি ইম্প্রুভমেণ্ট বোর্ড ) ইঞ্জিনিয়ার শ্ৰীযুত পি এ ভব নানী পূৰ্ত্ত-বিদ্যায় একজন বিশেষজ্ঞ। তিনি নিজাম-রাজধানীর উন্নতিকল্পে এই কয় বংসরের মধ্যে যেরূপ দক্ষতার পরিচয় দিয়াছেন, তাহ বস্তুতই প্রশংসনীয়। পূতিগন্ধময় প্লেগগ্রস্ত স্থানসমূহকে তিনি সুদৃশ্ব ও স্বাস্থ্যপ্রদ স্থানে পরিবৰ্ত্তিত করিয়াছেন ; অধিকন্তু বৰ্ত্তমানে ইহা দরিদ্রোপযোগী আবাসস্থানও বটে। কোন ইংরেজ এইরূপ একটি ক জ