পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e বাণিজ্যে সাম্রাজ্যিক সুবিধা ও ভারতবর্ষ যুদ্ধের পর হইতেই ইংরেজ জাতি বাণিজ্যে সাম্রাজ্যিক স্ববিধা-নীতি ( ইম্পিরিয়েল প্রেফারেন্স) প্রবত্তন করিবার জন্ত সচেষ্ট হইয়াছেন । বাণিজ্য-জগতের ভবিষ্যৎ ভাবিয়া তাহারা স্বার্থরক্ষার জন্য সজাগ হইয়া উঠিয়াছেন । এই নব-বিধানের ফলে আমাদের ভারতবাসীর লাভালাভের হিসাব খতিয়ান করিয়া দেখা উচিত ।

  • বাণিজ্যে সাম্রাজ্যিক-সুবিধ। আজকাল এই নূতন করিয়া আরম্ভ ইয়াছে তাং নঙ্গে । বুয়ার যুদ্ধের পর জোসেফ চেম্বালেন এই নূতন নীতি প্রবর্তন করিবার জন্য ধথেষ্ট চেষ্টা করিয়াছিলেন । তাঙ্গর উদ্দেশ্য ছিল দুইটি । প্রথমতঃ এই নূতন নীতির ফলে বৃটিশ-সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশ স্বাথবদ্ধ হইয়। একত্রিত হইবে । দ্বিতীয়ত: ইংরেজের শিল্প বাণিজ্য বিদেশীদিগের প্রতিযোগিতা এড়াইয়। ই প্র:িষ্ঠিত হইতে পরিবে । কিন্তু তখন অনেক তর্ক-বিতর্কের পর ইহা ‘ধ। মাচাপা’ ছিল । বিগত যুরোপীয় কুরুক্ষেত্রের ফলে ঈখবেজ জাতি বুঝিয়াছেন বৃটিশ সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশে একতা না থাকিলে সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরে কৃষি শিল্প ও বাণিজ্যের যথেষ্ট উন্নতি করিতে না পারিলে সাম্রাজ্যের শাস্তি নাই, এবং ভবিষ্যতে মহাবিপদ উপস্থিত হইতে পারে। ভাই স্বার্থের থাতে ইংরেজের তরফ হইতে এই নূতন নীতি প্রবর্তনের কথাটা পুনরায় উঠিয়াছে ।

বাণিজ্যে সাম্রাজ্যিক ক্ষবিধার অর্থ এই যে বৃটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত দেশগুলি পরস্পরের মধ্যে বাণিজ্যে যে সুবিধা ভোগ করিবে, সাম্রাজ্যের বাহিরের কোন দেশ বৃটিশ সাম্রাজ্যের অন্তভুক্ত কোনও দেশের সহিত বাণিজ্যে সেই স্ববিধা ভোগ করিতে পাইবে না । বাণিজ্যে কোনও দেশকে স্ববিধা প্রদান করিতে শুইলে সেই দেশের পণ্যদ্রব্য আমদানী করিবার সময় উহার উপর শুন্ধের হার কমাইয়। অথবা একেবারে উঠাইয়া क्८िख इङ्ग । প্রদানের কথাট। সে বাণিজ্যে সাম্রাজ্যিক সুবিধা-নীতি অবলম্বন করিলে সাম্রাজ্যের অন্তভুক্ত যে-কোনো দেশজাত পণ্যদ্রব্যের উপরে শুন্ধের হার কমাইয়া সাম্রাজ্যের বাহির হইতে আমদানির উপবে শুন্ধের হার বাড়াইয় দিতে হইবে । ভারতবর্ষের স্বাভাবিক বহির্বাণিজ্যের হিসাব হইতে দেখিতে পা গুধ। যায় যে ভারতের আমদানির শতকরা ৬১ ভাগ আসে ইংলণ্ড, স্কট্‌লণ্ড, ও আয়ারণও হইতে, পাচ ভাগ আসে বৃটিশ-সাম্রাজ্যভুক্ত অন্যান্য দেশ হইতে, আর বাকী ৩৪ ভাগ আসে সাম্রাজ্যের বাহিরের বিভিন্ন দেশ হষ্টতে । আমাদিগের রপ্তানির শক্তকর প্রায় ২২ ভাগ ধায় ইংলণ্ড, স্কট্‌লণ্ড, ও আয়াবলণ্ডে ; প্রায় ২২ ভাগ যায় সাম্রাজ্যের ভিতরে অন্যান্ত দেশে এবং ৫৬ ভাগ ধায় সাম্রাজ্যের বাহিরে । আমরা ইংলও, স্কটুলগু, ও আয়ারলও, হইতে যাহা আমদানি করি তাছার অধিকাংশই শিল্পদ্রব্য এবং ঐসব দেশে যাহা রপ্তানি কবি তাহার বেশীর ভাগই খাদ্যদ্রব্য ও কাচা মাল । ভারতের সহিত উপনিবেশের বাণিজোও অনেকটা ঐ প্রকারের । আমরা ইংরেজের নিকট গুষ্টতে যাহ। আমদানি করি ভাঙ্গ ইংরেজকে অপরাখার জাতির সহিত প্রতিযোগিতা করিয়া বিক্রয় করিতে হয় । কিন্তু ভারতের বেশীর ভাগ রপ্তানির সহিত টক্কর দিবার দেশ নাই । ঠ রেজ ও অন্যাপ্ত জাতির সহিত ভারতবর্ষের বাণিজ্যের ধে অবস্থা ভাগতে এই সূতন নীতি অনুসারে ভারতবাসী ইংরেজকে কি সুবিধা দিতে পারে এবং ইংরেজের নিকট হইতেই বা কি সুবিধা পাইবার আশা করিতে পারে তাহা হিসাব করিয়া দেখা যাক । এই নুতন নীতির সমর্থকগণ বলিয়া থাকেন যে, এই নীতি অবলঙ্গিত হইলে ভারতবাসীর একটা বড় স্থবিধা এই হইবে যে, ইংরেজজাতি ভারতের বুণিজ্যকে স্ববিধা প্রদান করিয়া ভারতীয় জিনিষ আদর করিয়া ক্রয় করিবুেন। ইংরেজ २०*