বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و سووية ছিল, কাহারো মতে ইহার স্পর্শগুণ কেবল ধাতুতেই আবদ্ধ ছিল না, পরন্তু রোগের উপশম এবং মনুষ্যজীবনের যাবতীয় দুঃখকষ্টের লাঘব করার ক্ষমতাও ইহার ছিল। এই স্পর্শমণির বা পরশপাথরের খোজে নানাদেশে নানা সময়ে কত যে চেষ্টা হইয়াছে, তাহার বিষয়ে লিখিয়া শেষ করা যায় না। তবে এই পৰ্য্যস্ত বলা যায়. যে, পরমাণুবাদের প্রচলনের পর মৌলিক পদার্থের পরিবর্তন অসম্ভব বলিয়া ধারণা বিদ্বজ্জনের মধ্যে দৃঢ় হয়। তবে তাহা সত্ত্বেও এবিষয়ে চেষ্টা এখনও চলিতেছে এবং বোধ হয় চিরকাল চলিবে । - প্রথম কোথায় কে এবিষয়ে অমুসন্ধান আরম্ভ করেন, তাহ বলা অসম্ভব । পাশ্চাত্য ইতিহাসের প্রথম ভাগে দেখা যায়, যে, রসায়ন-শাস্ত্র ধৰ্ম্মের অঙ্গবিশেষ বলিয়া পরিজ্ঞাত ছিল এবং সেইজন্ত কেবলমাত্র পুরোহিত শ্রেণীর লোকের এই বিষয়ে অধিকার ছিল । রসায়ন শাস্ত্রের পাশ্চাত্য নাম কেমি বা কেমিষ্ট্র । এই নামের উৎপত্তি সম্বন্ধে নানা মত প্রচলিত আছে। গ্ৰীক ভাষায় এই নামের মূল “ক্ষেমিয়া”। প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক প্লুটার্ক বলেন যে,ঈজিপ্ট দেশের নাম সেই দেশের পবিত্র দেবভাষায় “খেম” বা “খী” (অর্থাৎ কৃষ্ণবর্ণ) ছিল । সুতরাং কেমিয়া শব্দের উৎপত্তি ঐ শব্দ হইতে হইয়াছে বলা যায়। অন্যেরা বলেন, যে, হীক্ৰ ভাষার “চামান” বা হামান শব্দ—যাহার સર્જ “গুহ্য” বা “অলৌকিক”—ইহার মূল। জ্ঞানী বোকার্ট বলেন যে, আরবী "চেম” বা “কেমা” ধাতু—অর্থ লুকান—ইহার মূল। মূল যাহাই হউক, এই শব্দের আন্তর্থ যে গুহ্য শাস্ত্র বা সাধারণে অপ্রকাশু শাস্ত্র, তাহাতে কোনও সন্দেহ নাই। আমাদের দেশের এই শাস্ত্রের নাম "রসায়ন” পারদের অন্য নাম “রস’ হইতে উৎপন্ন। পারদ শব্দের অর্থ যাহা পার-প্রদ বা সৰ্ব্ববিঘ্ন উত্তীর্ণ করায়, অর্থাৎ যাহা সৰ্ব্বরোগের মহৌষধ। রসায়নের অর্থ পারদ-পথ । বিদেশে রসায়ন-শাস্ত্রের জন্মস্থান ঈজিপ্ট বা মিশরদেশ । ঈজিঙ্গীয়ান দেবতা “থথ” এই শাস্ত্রের উদ্বোধন করেন, এইরূপ সেই দেশে কিংবদন্তী ছিল। কাহারো মতে “থথ ’ প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩১ [ २8* छात्र, sञ थ७ দেবতা পরে ইয়োরোপে হার্মাঁজ, নাম প্রাপ্ত হয়েন। এই হার্মাঁজ, দেবতার নাম হইতেই “হামেটিক্যালি সীল্ড” কথার উৎপত্তি। ইহার কারণ প্রাচীন রাসায়নিকগণ র্তাহাদের পাত্ৰসকল হাৰ্মীজ দেবতার চিহ্নযুক্ত ঢাকৃনি দ্বারা আবদ্ধ করিতেন। পানোপলিস সস্তৃত জোজিমস্ নামক খৃঃ ৫ম শতাব্দীর প্রাচীন লেখক বলেন, যে, পুরাকালে এই শাস্ত্রের বিশেষ মুখ্যাতি ছিল না। তিনি বলেন —ধৰ্ম্মপুস্তকে লিখিত আছে, যে, কতিপয় দেবতা, মনুষ্য-কাদর্শনে মিলনকামী হইয়া তাহাদিগের নিকট প্রকৃতির রহস্যসকল প্রকাশ করিয়া দেন। এই দোষের শাস্তিস্বরূপে তাহারা স্বৰ্গ হইতে নিৰ্ব্বাসিত হন। রোমকদিগের মধ্যেও এইরূপ প্রবাদ ছিল, যে, সিবিল্লা নামক নারী স্বৰ্য্যদেব ফীবসের নিকট হইতে বাসনাতৃপ্তির মূল্যস্বরূপে দীর্ঘজীবন ও এই শাস্ত্রের জ্ঞান লাভ করে । এইরূপ প্রবাদ পারস্যদেশ, ফিনিশিয়া, গ্রীস ইত্যাদি নানাদেশে নানাজাতির মধ্যে প্রচলিত ছিল । ইহা বাইবেলে বিবৃত আদম ও হবার নন্দন-কানন হইতে বিতাড়নের উপাখ্যানের বিভিন্ন রূপান্তর মাত্র । অস্নাদিম লিখিত আরবী কিতাব, অল ফিহরিস্ত, নামক পুস্তকে আছে, যে, জ্ঞানী হামাজ এই শাস্ত্রের স্বচনা করেন। তিনি বাবিলনদেশীয় ছিলেন, কিন্তু বাবেল নগরের অধিবাসিগণ ছড়াইয়া পড়িলে তিনি ঈজিপ্টে বসবাস করেন। ডাইওডরাস সিকুলাস ঈজিপ্টে প্রবাদ শুনিয়াছিলেন,যে, প্রথম ধাতুনিষ্কাশন টিউবালকেন করেন। এই টিউবালকেনই রোমক দেবতা ভল্কান। ভারতবর্ষে রসায়নের ইতিহাস অতি পুরাতন । ঋগ্বেদে ইহার প্রথম সূত্রপাত দেখা যায়। অথৰ্ব্ববেদে ইন্দ্রজাল, মন্ত্র, ইত্যাদির সহিত মিশ্রিতভাবে ইহার মিশরের দেবতা খন্থ