বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

**

    • . .ே . 领 该

খাওয়ার ভে পু, বাজে ! আবার দ্বিপ্রহরে ১২টার সময় শিশুদের খাওয়া । আমাদের খাওয়া ১টার সময় আবার সেই ভেঁপু। রৈকালে ৪টার সময় চ, আবার সন্ধ্যা ’৭টার সময় সান্ধ্য-ভোজনের ভেঁপু। এর কি একতিল ব্যতিক্রম হয় ! তা ছাড়া এত বড় জাহাজখানা রোজ মাজা-ঘসা চলছেই, চলছেই । এর কোনোখানে কোনও ৰিশৃঙ্খলা নেই, গোলমাল নেই। সমৰেতভাবে কাজ করবার শক্তি এর অদ্ভুতরকমে সঞ্চয় করেছে। শৃঙ্খলা জিনিষটা যেন আমাদের ধাতেই নেই । খাটুতে আমাদের কসুর নেই, কিন্তু শৃঙ্খল করে’ নিয়মিত সময়মত সব কথা স্মরণ রেখে সব দিক্‌ বজায় রেখে কিছু করতে গেলেই আমরা ইঁাপিয়ে পড়ি। আমি কিছুতেই ভাবতে পারিনে যে মানসিক অসংযম ও আলগু ছাড়া এর আর কি কারণ হ’তে পারে । শুঙ্খলা ও সংযম জিনিষটা যদি আমাদের একেবারে স্বাভাবিক ধাতুগত না হয়ে যায়, যদিীশ্বম্বল ও আনন্দের মধ্যেই জামরা আনন্দ না পাই, যদি শৃঙ্খলা ও সংযমকে উৎসবদিনের বেশের মতন একদিন বের করে এনে জাক করে’ ব্যবহার কবৃতে হয়, তবে সে শৃঙ্খলা ও সংযমে কোনোও জাভ নেই । তাকে অবলম্বন করে’ মাহুষ বল সঞ্চয় করতে পারে না। - ভারতবর্ষকে যদি যথার্থ একজাতি করে গড়ে তুলতে হয় তবে সমবেতভাবে কাজ করবার সাধনা, শিক্ষা ও আনন্দ তাকে আয়ত্ত করে তুলতে হবে। শুধু সভায়সমিতিতে নয়, শুধু পোষাকীরকমে নয়। কিন্তু প্রাতাহিক টিনাটি জীবনে পরকে আঘাত না দিয়ে সংযতভাবে সকলকে বাচিয়ে সকলের যাতে স্ববিধা হয়, এমনি করে শৃঙ্খলা ও:সংযমের সহিত যদি কাজ করতে না শিখি তবে কিছুতেই আমাদের মঙ্গলের আশা নেই। বাদল হাওয়ার মতন এক-একটা স্বাদেশিকতার বাঁশকুনি বা কাপুনি এসে আমাদের মধ্যে মধ্যে সজাগ করে দিচ্ছে সন্দেহ নেই। এর যা সুফল আছে তা এর রইল। কিন্তু এতে জীবনকে গড়তে পারে না । এতে আকস্মিকভাবে খানিকটা শক্তিকে সংহত করা যায় মাত্র, তার বেশী আর যে বড় কিছু হয় এ আমার বিশ্বাস নয় । একটা জাত যা গড়ে সে তার প্রাত্যহিক জীবনের নিভৃত সঞ্চয়ে । তাতে কোনও শব্দ নেই, আড়ম্বর নেই, জানজিtiন নেই, আছে খালি কাজ আর সাধনা, প্রবাসী—জাষাঢ়, ১৩৩১ { ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড সংযম আর সংযমের আনন্দ, বলের আহরণ ও বলে পরিপাক । - এই জাহাজখান কলম্বো বন্দর ছেড়ে সীমাহীন সমুদ্র পাড়ি দিতে স্বরু করেছে, দিন নেই, রাত নেই, নিজের লক্ষ্যকে সাম্নে রেখে বরাবর ছুটে চলেছে । এর খবর কেউ রাখে না শুধু আশে-পাশের ২৪ ওখান জাহাজ ছাড়া । যখন ঘাটে গিয়ে পৌছবে তখনই লোকে একে জানবে দেখবে। এই যে উদ্দেপ্তকে সাম্নে রেখে নিভৃতে নিরস্তর চল, এইখানেই শক্তির পরীক্ষা, এইখানেই মামুষের জিত। ব্যক্তিগত হিসাবে মানুষই হোক কি কোনো জাতিষ্ট হোক, বল সঞ্চয় করতে হ’লে, জয়ী হতে হ’লে এই নিভৃত সাধনার পথই পথ ; আম্ফালনের পথে লাভের চেয়ে লোকসান বেশী, সঞ্চয়ের চেয়ে ক্ষয় বেশী। শক্তি যত কম, আস্ফালন তত বেশী প্রয়োজন, কারণ শক্তির অভাবটা আস্ফালন দিয়ে পূরণ না করতে পারলে স্বস্তি বোধ করা: बांध्र न 0 যুরোপীয়দের দোষ ও অপরাধের মাত্রা যে কম তা খালি বলছিনে। কিন্তু সে দোষগুলি তাদের সমবেত শক্তির গঠনের প্রতিকূলে তেমন দাড়ায় না। একটা স্বাভাবিক শৃঙ্খলা তাদের জীবনের মধ্যে কেমন সহজ হ’য়ে গেছে। পার্থক্য আছে, কিন্তু তেমন কলহ নেই। নিজেকে সকলের সঙ্গে মিলিয়ে কেমন ক’রে চালাতে হয়, সেটা কেমন এদের মজ্জাগত হ’য়ে গেছে। আমরা *Tito “[W3 formality, reservedness, outward politoness প্রভৃতি নানা আখ্যায় তাচ্ছিল্য করে’ উড়িয়ে দিতে চাই, আমার মনে হয় তার নীচে একটা গভীর সংযমশক্তির নিভৃত বিধারণ ক্রিয়া চলছে। সংযমের দ্বারা আত্ম-বিধারণ করতে না পারলে আত্মাকে বাচাবার অীর দ্বিতীয় উপায় নেই। আমরা যেমন নিঃশ্বাসপ্রশ্বাস করি তেমনি স্বাভাবিক শক্তিতে যুরোপীয়ের সমবেতভাবে আত্ম-বিধারণ করে চলেছে, তা হয়ত এদের অনেকে ভেবেই দেখে না, ভাববার ত প্রয়োজন নেই। কাজ চললেই হ’ল । এশক্তিটা কখনই জড়*fs HH–Materialism HR, «Si qetest wiwitą. শক্তি। আত্মার শক্তি ছাড়া বলসঞ্চয়ের আর দ্বিতীয় উপায় নেই, এসম্বন্ধে আমি একেবারে নিঃসংশয়—“নান্ত: পন্থী বিদ্যতে অয়নায় ।” ঐ সুরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত ১১ নং আপার সারকুলার রোড, প্রবাসী প্রেস হইতে ঐ ভাবনাশূচন্দ্র সরকার দ্বারা মূজিত ও প্রকাশিত