বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনাদ্যন্ত শ্ৰী সুধীরকুমার চৌধুরী কা’রা যেন দিল আনি আজিকে অন্তর-তলে জন্মান্তর স্মরণের বাণী— পরিচিত স্থর, বিস্মৃতির অতলত তারি স্পর্শে স্পন্দিত বিধুর কল্পোলিত সিন্ধুসম । মনে পড়ে, বহু লক্ষ শত লক্ষ্যহীন বর্ষ ধরি নিত্যকার মতো বেলা যায় হাসিমুখে ; সন্ধ্য আসে ছায় বুলাইয়া কাননে কাস্তারে তীরে, শীতল পরশে হুলাইয়। দিবসের বিবশ গ্রানিরে ; তার সর্ণ কৰ্ম্ম করি সমাপন গগন-অঙ্গন ভরি’ যতনে অঁাকে সে আলিপন তারকা-বিন্দুর, ভালে লয়ে’ সুমঙ্গল গোধূলির প্রদীপ্ত সিন্দুর, দেহটিবে ধিরে লয়ে শুচিস্নিগ্ধ পাণ্ডুর গৈরিকে, স্কন্ধপদে, আপনার অন্তরের স্বগোপন শান্তির সম্পদে, স্পন্দিত হৃদয়ে । ক্লান্ত অবসর রাত ; – তারার দীপালি সমে কারো গৃহে উংসবের বাতি ধন-জন সমারোচে ; *iび3| গৃঙ্গে স্তব্ধ বাত{য়নে আঁধারে দীপালি জলে পথ-চাওয়া আকুল-নয়নে দৃষ্টির আলোতে —শুধু আমি একপাশে, দিনের দেউটপানি জানি না কখন নিবে’ আসে ; কাজ কিছু নাহি ছিল সাঙ্গ করি অবসর বাচি । চলার ছিল না তাড়, সমুখে পিছনে কাছাকাছি পথ ধার গৃহ তার কাছে ; হিসাবের ছিল না বালাই, মে দিকে যাহারে রাখি,—লাভ-ক্ষতি-ভেদ কিছু নাই, আয়ে ব্যয়ে মহাশূন্ত প্রতিদিন সমান দাড়ায়, যত করি ছড়াছড়ি কণাটুকু কণ্ডু না হারায় । শুধু সেই শূন্ত ভরি থরথার কাপিত কি জানি সবার অগীত গান, সবাকার অকথিত বাণী । স্বপনে ছিল না তুল, স্বরগে ছিল না তার বাড়া, এজীবনে জাগরণে কোথাও ছিল না তার সাড়। : কেবল র্কাপনে তারি বুকে মোর কঁাপিত কি তার,— কন্তু মনে হ’ত হাসি, কন্তু মনে হ’ত হাহাকার ; মরু-কান্তারের পাশে, ধূলিহীন নদীটির ধারে সবাকার অগোচরে লুকায়ে লইয়া আপনারে, লোকালয় পাছে রাখি, পায়ে-চলা পথ হতে দূরে, তিমির মগন ক্ষরি’ ভাষাহীন বঁাশরীর মুরে তোমারে সাধিয়াছিম । তার পর বহু জন্ম ধরি’ কার মুখ পানে চেয়ে কেটেছে বিনিদ্র বিভাবরী, কেউ তা জানিত না । জানিতাম কিছু তার অামি । অস্তিত্বের মৰ্ম্মমূলে জীবনে মরণে দিবাবামী জাগিত যে আপনার অনুভব, ছিল তার মাঝে বুকের পরশ কার যেন । মোর প্রতি পদে প্রতি কাজে তারে আমি বৰ্হিতাম, সুখে দুঃখে মাখিতাম মুর, লোক হ’তে লোকান্তরে লইতাম বিরহ-বিধুর স্বদূরের অভিসারে । সে চলিত আগে, আমি চলিতমি তার চরণের ধ্বনি অসুরাগে পায়ে পায়ে অনুসরি । কানে কানে কহিতাম কথা, শাস্তি লভিতাম তারে অস্তরের সর্ল ব্যাকুলত৷ নিবেদন করি’ দিয়া । হাতে ধরি' বসাইয়া কাছে দিতাম অঞ্চল ভরি’ নিঃশেষিয়া যা দেবার আছে, তার পরে দেখিতাম, মোর যত দান-করা পূন আমারই পায়ের কাছে পড়ে’ আছে অর্ঘ্যের মতন, অনাদিকালের মোর পীথেয়ের গোপন সঞ্চয় । দিনে দিনে আপনাতে আপনার নব পরিচয় নূতন প্রেমের মতো জাগে –কবে সে কেমনে নাহি জাiম স্বপনে নিজের মনে কার সনে হ’ল কানাকানি, কহিলাম, ভালবালি। সে কহিল সেই কথাটিরে চকিতে ফিরিয়া ধেন প্রতিধ্বনি –সেইদিন কি রে আপনারে দ্বিধা করি’ জেগেছিন্থ প্রথম প্রণয়ে