বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ ੋ। l ক্রেতাদের স্ববিধা হইত না । এখন সহরের কেন্দ্রস্থলে ১৫নং কলেজ স্কোয়ারে উহা উঠিয়া আসায় সকলেই সহজে भुीतःि খন্দর ক্রয় করিতে পারিবেন। তারকেশ্বরের সমস্যা ইণ্ডিয়ান জর্ণ্যালিষ্টস্ এসোসিয়েশ্বান অর্থাৎ ভারতীয় সাংবাদিকগণের সভা সম্প্রতি তথ্যনির্ণয়ের জন্য র্তাহীদের সভাপতি ও কয়েকজন সভ্যকে প্রতিনিধিস্বরূপ তারকেশ্বরে পাঠাইয়াছিলেন। র্তাহাদের রিপোর্ট আমরা এখনও পাই নাই। তাহা হস্তগত হইলে তারকেশ্বর-সমস্যা সম্বন্ধে তাহাদের মত জানা যাইতে পারিবে। তারকেশ্বর শিব মন্দিরের বন্দোবস্ত, উহার সম্পত্তির ও আয়-ব্যয়ের বন্দোবস্ত ব্যক্তিবিশেষের হাতে না থাকিয়া, হিন্দুসমাজের প্রতিনিধিস্থানীয় একটি কমিটির হাতে থাকা বাঞ্ছনীয়। কোনও অসচ্চরিত্র লোক উহার পুরোহিত বা সেবাইত থাকা বাঞ্ছনীয় নহে। এবিষয়ে, বোধ হয়, কোন মতদ্বৈধ नांझे । তারকেশ্বরের লক্ষ্মীনারায়ণের বিগ্রহ ও মন্দির ব্যক্তিগতভাবে মোহান্তের, না সৰ্ব্ব-সাধারণের অবাধে তথায় গিয়া দর্শন ও পূজা করিবার অধিকার আছে, সে-বিষয়ে ঠিক খবর জানি না । সত্যাগ্রহী পক্ষের কথা, এই, যে উহা সৰ্ব্বসাধারণের ; উহা এখন যেরূপ মোহান্তের প্রাসাদের প্রাচীরের বেষ্টনীর মধ্যে অবস্থিত, বরাবর সে-প্রকার ছিল না ; এরূপ বন্দোবস্ত আধুনিক । ইহা ঠিক খবর হইলে সৰ্ব্ব-সাধারণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিতে হইবে। বৰ্ত্তমান-প্রকারের সত্যাগ্রহই তাহা করিবার প্রকৃষ্টতম উপায় কি না, সে-বিষয়ে আমাদের সন্দেহ আছে । অবশ্ব ইহা ঠিক, যে, মোকদ্দমা করিলে তাহার ফল কিরূপ হইবে, বলা কঠিন। অনেক সময় যাহার টাকার জোর বেশী, তাহারই জিৎ হয়। কিন্তু আদালতের মীমাংসা ভিন্ন অন্য-কোন মীমাংসা তাহার মত বলবৎ হইবে না। সালিসী মীমাংসা অবশ্য হইতে পারে। কিন্তু কোন কোন পক্ষের মধ্যে হইবে, তাহা বলা কঠিন। মোহাস্তকে ত সত্যাগ্রহীরা আমল দিতে চান না। বিবিধ প্রসঙ্গ—তারকেশ্বরের সমস্যা ©©ᎼᎽ বৰ্ত্তমানে স্বরাজ্যদলের সত্যাগ্রহীদের পক্ষ হইতে তারকেশ্বরের মন্দিরের যে-বন্দোবস্ত হইয়াছে, তাহাও স্থায়ী হইবে কি না, বলা যায় না। কারণ, তাহারা আদালত কর্তৃক নিযুক্ত রিসীভাবুকে আমল দিতেছেন না। বৰ্ত্তমানে মন্দিরের আয়ব্যয়ের হিসাব কে রাখিতেছেন, কে রসীদ দিতেছেন ও রাখিতেছেন, এবিষয়ে বৈধ অধিকার কাহার, মোটেই হিসাব রাখা হইতেছে কি না, সে-সব কিছুই অবগত নহি । স্বরাজ্যদলের লোকেরা আদালত মানেন না, বলিবার জো নাই। কারণ, তাহারা হাইকোটে দরখাস্ত করিয়া মন্ত্রীদের বেতন মধুর সম্বন্ধীয় প্রস্তাব ব্যবস্থাপক সভায় পুনর্বার পেশ করা আপাততঃ বন্ধ করাইয়াছেন। স্বতরাং যেখানে তাহাদের দরকার ও স্ববিধা হইবে, সেখানে র্তাহারা আদালতের সাহায্য লইবেন ও তাহার আদেশের স্ববিধ ভোগ করিবেন, কিন্তু যেখানে আদালতের আদেশ তাহাদের উদ্দেশ্যসিদ্ধির বাধা জন্মাইবে, সেখানে র্তাহারা “অসহযোগী” সাজিবেন,—যেমন রিসীভাবুকে বেদখল রাখিবার বেলা সাজিয়াছেন,—ইহা একটা কৌশল বটে, কিন্তু সরল ও স্বসঙ্গত আচরণ নহে। ধৰ্ম্মার্থে লোক যে টাকা দেয়, তাহার ব্যয় সমাজের হিতার্থেই হওয়া উচিত, কাহারও সুখভোগের জন্ত হওয়া উচিত নহে ; জঘন্য পাপবাসন তৃপ্তির জন্য, নারীর সর্বনাশের জন্য, তাহা যে ব্যবহৃত হওয়া উচিত নয়, তাহা ত বলাই বাহুল্য। কিন্তু কেমন করিয়৷ এই উদ্দেশ্ব সিদ্ধ হইতে পারে, তাহাই বিবেচ্য। সত্যাগ্ৰহ চিরকাল চলিতে পারে না, এবং সত্যাগ্রহীরা যে-অধিকার স্থাপন ও বন্দোবস্ত করিয়াছেন বা করিবেন, সত্যাগ্ৰহ বন্ধ · হইলেও তাহা নির্বিবাদে চলিতে থাকিবে, এরূপ আশা করা ধায় না । সাংবাদিক সভার প্রতিনিধিদের রিপোর্টে সমস্তার সমাধান সম্বন্ধে কোন প্রস্তাব আছে কি না, দেখিবার কৌতুহল আছে। তারকেশ্বরে যাহাতে নারীর অসম্মান ও সতীত্বনাশ না হয়, এবং যাহাতে সামাজিক পবিত্রত রক্ষিত হয়, এইরূপ ব্যবস্থা করা ও অবস্থা সংরক্ষণ করা সত্যাগ্রহীদের