বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] গোলামখানা ভাঙ্গিয়া দিতে চাহিয়াছিলেন, শিক্ষাপরিদর্শকদের বেতন বাবতে দাৰী মঞ্জুর করেন নাই ; বিশ্ববিদ্যালয়কে এখন তাহার কি নজরে দেখিবেন, আগে হইতে বলা যায় না। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কিছু বলিলে-করিলে তাহাজের দলের জনবল ও ধলবল বাড়িবার সম্ভাবনা থাকে, তাহা হইলে বিশ্ববিদ্যালয়কে সাহায্য দিতে র্তাহারা নিশ্চয়ই রাজি হইবেন । আমৃদানী কাগজের উপর সংরক্ষণ-শুস্ক পণাস্ত্ৰৰ উৎপাদনের জন্য যখন কোন দেশে প্রথম-প্রথম কারখানা স্থাপিত হয়, তখন তাহা, যে-সব দেশে ঐরুপ কারখানা প্রভৃতি মূলধন ও বিশেষজ্ঞদিগের সাহায্যে অনেক দিন হইতে চলিতেছে, তাহার সহিত প্রতিযোগিতা করিতে পারে না। সেইজন্য বিদেশ হইতে আমদানী পণ্যের উপর ট্যাক্স, বসাইয়া উহার দাম এত বাড়াইয়া দেওয়া হয়, ষে, দেশী জিনিষ তখন উহার সহিত টক্কর দিতে সমর্থ হয়। ফলে, ঐ পণ্যদ্রব্য বিদেশ হইতে যত সস্তায় আগে পাওয়া যাইত, শুষ্ক বসাইবার পর তার চেয়ে বেশী দামে ঐ জিনির্ব, দেশী ও বিদেশী দুই-ই, কিনিতে হয়। তথাপি, এই বেশী দাম দেওয়া সার্থক এইজন্য মনে করা হয়, যে, দেশে একটি নূতন পণ্যশিল্প তত্ত্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহাতে অনেক দেশী মূলধন খাটে, অনেক দেশী লোক বড় ও ছোট কাজ পায়, অনেক শ্রমজীবীর অন্ন হয়, এবং মোটের উপর পূৰ্ব্বাপেক্ষ দেশে অধিক ধন উৎপন্ন হওয়ায়, তাহা অল্পাধিক পরিমাণে সকলের মধ্যে ছড়াইয়া পড়ে। কিন্তু এইসব স্বফল লাভ করিতে হইলে দেখিতে হইবে, যে, আমুদানী দ্রব্যের উপর পণ্যশুদ্ধ স্থাপন করিয়া যে পণ্যশিল্প ও কারখানাকে দাড় করাইবার চেষ্টা হইতেছে, তাহা বাস্তবিক দেশী নামের যোগ্য কিনা। কোন কারখানা ভারতবর্ষে অবস্থিত হইলেই তাহা ভারতীয় বা দেশী, হয় না। দেখিতে হইবে, যে, ঐ কারখানার মালিক কাহারা, মূলধন কাহাদের, পরিচালক ও উচ্চপদস্থ বিশেষজ্ঞ প্রভৃতি কৰ্ম্মচারী কোন দেশের লোক, এৰং আপাততঃ উহাতে, দেশী বিশেষজ্ঞের অভাবে, বিদেশী লোক রাখিতে হইলেও, দেশী লোকদিগকে সৰৱৰম কাজ শিখাইবার জন্ত শিক্ষানবীস লওয়া হয় কি না। এইসকল বিষয়ে কারখানাটি পূর্ণমাত্রায় দেশী হইলে, সংরক্ষণ-শুদ্ধ স্থাপনের সমর্থন কল্প ৰায় ; त्रखड: ब्रकध बांब्र श्रांना श्८लe कब्र यांग्न । किरू ৰেণ ভাগ মূলধন ও পরিচালক এবং বিশেষজ্ঞ বিদেশের इऎणि, १९१ुं-७९९॥ गचर्षन cकान षङिश् झब्र। ६ाश्च न1 ।। বিবিধ প্রসঙ্গ—জাগদানী কাগজের উপর সংরক্ষণ-শুল্ক ¢ፃ¢ বিদেশ হইতে খাগত দিয়াশলাইয়ের উপর কর আছে। সেই সুযোগে স্থইড ও ইংরেজের বিস্তর মূলধন সংগ্ৰহ করিয়া ভারতবর্ষে চারিটা বড় কারখানা করিতেছে। তাহাতে লাত এই হইবে, যে, দেশী দিয়াশলাইয়ের কারখানাগুলি নষ্ট হইবে, নৃতন দেশী দিয়াশলাই কারখানা স্থাপিত হইবে না, অথচ আমাদিগকে বেশী দামে দিয়াশলাই কিনিতে হক্টবে। কিন্তু যদি আইন এইরূপ হইত, যে, দিয়াশলাইয়ের ও অন্ত সৰ রকম জিনির্ষের কারখানার মূলধন শতকরা ৭৫ টাকা দেশী লোকের হওয়া চাই, পরিচালকদের তিন-চতুর্থাংশ দেশী হওয়া চাই, সবরকম কাজ চালাইবার জন্য যথাসম্ভব দেশীলোক রাখা চাই, সবরকম কাজ শিখাইবার জন্য দেশী শিক্ষানবীস রাখা চাই, এবং দিয়াশলাইকাঠের গুড়ি প্রভৃতি বিদেশ হইতে আসিলে তাহার উপরও ট্যাক্স দিতে হইবে, তাহা হইলে দেশে ভারতীয়দেয় দিয়াশলাইয়ের কারখানা স্থাপিত হইতে ও টিকিতে পায়িত । ভারতে স্থাপিত কাগজের কারখানাগুলি যে সংরক্ষণ চাহিয়াছে, তাহার ঔচিত্য বিচার করিতে হইলে এইসব কথা মনে রাখিতে হইবে। একটা দৃষ্টান্ত দিতেছি । রাণীগঞ্জে কাগজ তৈয়ার করিবার জন্য বেঙ্গল পেপার মিলস অেেছ । উহার মূলধনের এক-তৃতীয়াংশ মাত্র দেশী। পরিচালক চারিজনের মধ্যে মাত্র একজন দেশী । সবরকম কাজ শিখাইবার জন্য দেশী শিক্ষানবীস নাই । এই কারখানার পক্ষে যে ইংরেজ ট্যারিফ বোর্ডের (সংরক্ষণ-শুষ্ক-সমিতির ) সমক্ষে সাক্ষ্য দিয়াছেন, তাহার মতে দেশী যুবকেরা, ভাল করিয়া কাজ শিখিবার জন্য যতদিন শিক্ষা করা দরকার, ততদিন শিক্ষা করে না, কিম্বা কাগজের কাজটাই শিখিতে চায় না, কিম্বা তাহা শিখিবার যোগ্যতাই তাহাদের নাই। অথচ জেরায় তিনি স্বীকার করিতে বাধ্য হন, যে, একটি দেশী যুবক ১৮মাস শিখিবার পর আসাম গবর্ণমেণ্ট, কর্তৃক তাহাজের বিশেযজ্ঞের পদ পাইয়া রাণীগঞ্জ হইতে গিয়াছেন ! মোটকখ, রাণীগঞ্জের কাগজের কারখানায় শিক্ষানবীস নাই। মূলধনের অংশ.ও পরিচালকদের সংখ্যা বিবেচনা করিয়াও ইহাকে দেশী বলা যায় না। স্বতরাং এরূপ কাবুথানার স্ববিধার জন্ত আমরা দেশী ও বিদেশী কাগজের বেশী দাম দিতে প্রস্তুত নহি । কাগজের দাম বাড়িলে পুস্তক, মাসিক ত্রৈমাসিক পত্র, ও খৰরের কাগজের ব্যয় ও মূল্য বাড়িবে ; যদি দাম না বাড়াইয়া বর্তমান মূল্যেই বেচিতে হয়, তাহা হইলে লিঙ্কষ্ট কাগজ ব্যবহার করিতে হইবে । তাহাতে