পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মে’ সংখ্যা ) রাজপথ t(ఫి বিমানবিহারী হাসিতে হাসিতে বালল, সে একমাত্র যাদু-দণ্ডের স্পশেই হ’তে পারে। যদি তেমন কোনো যাদু ৮ও জানা থাকে ত স্পর্শ করিয়ে, দিন, আমার কোনো আপত্তি নেই!” a el সারাসুন্দরীও রহস্তে যোগ দিয়া স্থিতমূপে বলিল, "আমি আশীৰ্ব্বাদ করছি বিমান, সে যাদু-দণ্ডের স্পর্শ তুমি তোমার শ্বশুরবাড়ীতেই পাযে । আমি স্বরেশের মুখে যতটুকু শুনেছি তাতে বুঝতে পেরেছি যে, তুমি শ্বশুররােড়া গেলে দেশের ক্ষতি হবে না, লাভই হবে।” বলিয়া হাসিতে লাগিলেন । তারাস্বন্দরীর কথা শুনিয়া মাধবী৪ মৃদু মুদু হাসিতে লাগিল, কিন্তু মেঘের মধ্য রজের মত, সে হাস্তের মধ্যে এবট। বেদনাও দপদপ, করিতে লাগিল । পুলিশ কর্তৃক স্থত হওয়ার পর গু ত্যাগ করিয়া যাইবার পূৰ্ব্বে স্বঃেশ্বর মাধবীকে প্রতিশ্রুত করাইয়া লইয়াছিল যে এমন কোন কাৰ্য্য সে কfরবে না যাহা বিমানের সহিত স্বমিত্রার মিলনের পক্ষে বিঘ্নকর হইতে পারে । সেই প্রতি শ্রীতিহেতু নিজের অক্ষমতা স্মরণ করিয়া মাধবীর মনে বিমানপিঠাখার প্রতি একটা স্বক্ষ বিদ্বেষের মত ভাব জাগিয়া উঠিল । ' কথায় কথায় স্বরেশ্বরের দণ্ডের কথা উঠিল। বিমান বলিল, "অপরাধের তুলনায় শাস্তিটা অত্যন্ত বেশী হয়েছে !” ● একটু নীরব থাকিয়া তারান্বন্দরী বলিলেন, “আমি কিন্তু তা মনে করিনে বাবা । যে-কাজ স্বরেশ করছিল তা” যদি অপরাধ বলে’ মনে কর, তা হ’লে শান্তি একটুও বেঞ্জী হয়নি, বরং কম হয়েছে। যে তোমার শাসন আর বিধি-ব্যবস্থা ওলটুপালট করে” দেবার চেষ্ট করছে তাকে যদি তুমি এক বংস জেলে আটকে রাখবার ব্যবস্থা কর তা হ’লে আর তোমাকে এমন কি দোষ দে এয়া যায় ? আবার বিনা অপবাধে স্বরেশ্বরের শাস্তি হয়েছে বলেই যদি মনে কয়, তা হ'লেও কিছু বলবার নেই। যার অবিচার করছে বলে তোমাদের ধারণা তাদের কাছে স্ববিচার প্রত্যাশা কর কেমন করে’ ? গালে যে চড় মার্ছে—পিঠে সে হাত বুলিয়ে দেবে সে আশা করা বৃথা ।” তারান্বন্দরীর কথার উত্তরে বলিবার মত কোনও কথা খুজিয়া ন পাইয়া বিমানবিহারী চুপ করিয়া রহিল। । মাধবী মুছ হাসিয়া বলিল, “মা যে কোন পক্ষের হয়ে কথা বলছ, তা বোঝা শক্ত। কোনো পক্ষই তোমার কথা শুনলে সন্তুষ্টও হবে না, অসন্তুষ্টও হবে না।” সেকথার উত্তর বিমানবিহারী দিল ; বলিল, “উচিত কথার একটা বিশেষ হই হচ্ছে এই যে, তার দ্বারা কোনো পক্ষকে বেশী রকম সংষ্ট৭ করা যায় না, অসন্তুষ্টও করা যায় না। মাতুষকে বেশী রকম সস্তুষ্ট অথবা অসন্তুষ্ট করবার একট। প্রধান উপায় হচ্ছে তার বিষয়ে অযথা কথা বলা ?” মাধবী স্মিতমুখে বলিল, “কিন্তু কাণাকে কাণ৷ বললে ত সে চটে যায় ?” বিমান কহিল, "তা যায়, কিন্তু তাকে পদ্মপলাশলোচন বললে বোধ হয় আরও বেশী চটে ধায়।” . মাধবী হাসিতে হাসিতে বলিল, "স্থ্য, তা যায় বটে।” : বিমানবিহাৰী বলিতে লাগিল, “মাতুষকে খুনী করতে হ’লে তার ত্রুটিগুলোকে একটু কৌশল করে গুণে পরিবর্তিত করতে হয় ; মিথ্যাবাদীকে চতুর বলতে হয়, গুণ্ডাকে বীর বলতে হয়, আর ডেপুটিকে বোধ হয় ধৰ্ম্মাবতার বলতে হয় ।” বিমানের কথা শুনিয়া মাধবী ও তারাসুন্দরী উভয়েই ; হাসিতে লাগিলেন । _ স্বxেশ্বরের এক বৎসর কারাদণ্ডের সংবাদ পাইয়া অবধি মাধবী ও তারাস্বন্দরীর অন্তরে যে অস্ত্রচারিত বিষণ্ণতা গুরুভারের মত চাপিয়া ছিল, বিমানবিহারীর আগমনে ও তাহার সহিত কথাবাৰ্ত্তায় তাহা অনেকটা লঘু হইয়া গেল। মেঘ কাটিয়া আকাশ নিৰ্ম্মল হইয়। গিয়াছিল এবং প্রথম বসন্তের নাতিশীতল প্রভাতবায়ুতে এবং অমান সূৰ্য্য-কিরণে একটা প্রশান্ত প্রসন্নজস্বিরাজ করিতেছিল। তাহার উপশমক ক্রিয়ার প্রভাবে दिदिश्বেদনায় বিদ্ধ তিনটি প্রাণীর এই সম্মিলন ष्ख्किर्षकै इझेशा उंटैिल । বিমান বলিল, “গল্প করে করে আপনাদের সকালবেলার কাজ-কর্থের ব্যাঘাত করছি।”