৫ম সংখ্যা ] ठाख्य স্বলে দোষ বলিয়া গণ্য। যথা, বৈদ্যুতিক মোটরের কমিউটেটার নিৰ্ম্মাণে কোমল অভ্র ব্যবহৃত হয়, কেন না অভ্ৰ, যন্ত্রের তাম্র-অংশ অপেক্ষ কঠিন হইলে, তাম্র ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ায় মোটর বিকল হইবার সম্ভাবনা থাকে । অভ্রের ব্যবহার প্রধানতঃ বৈদ্যুতিক কারবার-সকলে হয়। বিদ্যুৎ ইত্যাদির চালন-রোধক ( insulating medium) পদার্থ হিসাবে ইঙ্গর আবশ্যক। চালনরে ধন শক্তি, সহজ-নিমেচন গুণ, তাপসঙ্গন শক্তি, ইত্যাদি গুণাবলীর কারণে অভ্র বিদ্যাৎসংক্রান্ত যন্ত্রাদিতে অপরিহার্যা বঙ্গ বলিয়া পরিগণিত হইয়াছে । আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে অভ্রের ব্যবহাব কি কি কাজে তষ্টয়াছে, লতার প্রত্যেক বংসয় একটা তালিকা প্রকাশিত হয় । তাহীতে পাওয়া যায়, যে, অভ্রের ব্যবহার এইরূপে হইয়াrছ। যথা :– বিদ্যাংচালন-রোধন কার্যো-হ-শতকরা ৮৬ অংশ চল্লী প্রস্তুত করণ ۰ ۰ - ,, د لآ ,, ফোনোগ্রাফ যন্ত্রে * , অন্য সকল কাজে · · · R », সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ শ্রেণীর অভ্র ফোনো গাফ বা গ্রামোফোন বক্সের “শব্দ-উৎপাদক" অংশে ব্যবহৃত হয় । তারহীন টেলিগাফ, ইত্যাদির অংশবিশেষেও সম্পূর্ণ দোষহীন অভ্রের প্রয়োজন হয় । বৈদ্যুতিক কনডেনসার নিৰ্ম্মাণে ও মাগ্নেটাে নিৰ্ম্মাণে ভ্র অনেক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। এই দুই কাজেই ভারতীয় রুবি-অভ্র ভিন্ন অন্য কিছু চলে না। এত বিভিন্নরূপ ও প্রকারের কার্য্যে অভ্র ব্যবহৃত হয়, যে, ইছু খনির অধিকারী স্বয়ং ব্যবহারককে সরবরাহ করিতে পারেন না । দালাল ও চালানদারের সাহায্য ছাড কোনও কাজ হওয়া অসম্ভব । ভারতবর্ষের অভ্র সর্বশ্রেষ্ঠ, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই । কিন্তু অভ্রের ব্যবসা এদেশের একচেটিয়া নহে । আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে, ও কানাডীয়, এবং আফ্রিকায় পূৰ্ব্বআফ্রিকা এষং দক্ষিণ-আফ্রিকায় যথেষ্ট অভ্র পাওয়া যায়। এদেশের অভ্র এত ভাল হওয়া সত্ত্বেও এবং অভ্রখনির অনেকাংশ ( বোধ হয় অধিকাংশ ) এদেশীয় সুতরাং \అసెసె লোকের গতে থাকা সত্ত্বেও ইহা এখন বিশেষ লাভকর ব্যবসা নহে, অন্ততঃ এদেশী ব্যবসায়ীদিগের পক্ষে । তাহার প্রধান কারণ, অনেক হাত ফেরায় অভ্রের দাম অতি বিষম এবং অস্থির হইয়া দাড়াইয়াছে। নিম্নলিখিত তালিকা হইতে তাহা স্পষ্টই দেখা যায়— লণ্ডনে রুবি-ক্লিয়াব অভ্রের দাম (দাম প্রতি পাউণ্ড ওজনে শিলিংএ দেওয়া আছে) শ্রেণী ১৯০১ ১৯০৮ ১৯১১ ১৯১২ ১৯১৪ ১৯১৯ শিলিং ২ 을 을 2 ع ج واة 夔 剷 6t নং - - - в. - а Y ֆ २# 8ቲ ৪ নং ২ ૭કે W8 83 وي응 버을 ৩ নং ১৯ 83 8용 (音 १हैं 8 ર ২ নং ৩: وا۔ t! ૧કે br論 ა(( ১ নং ৫ 9; ઝિકે సి ২৯২ তাঙ্গর উপর এদেশী অভ্রব্যবসায়ী সম্বন্ধে বিদেশে এইরূপ ধারণা হইয়াছে, যে, তাহারা স্বভাবতঃই শঠ ও প্রবঞ্চক। কেন না, দেশী চালানে কখনই নমুনা-অনুযায়ী জিনিস থাকে না, কিছু খারাপ বা কম-দামী জিনিষ মেশান থাকে। এরূপ ধারণ যে ভিত্তিলীন, তাহা বলা চলে না। কেন না, বিদেশী ব্যবসায়ীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনেক বেশী দাম দিয়া লগুনে অভ্র খরিদ করে। উপসংহারে কয়েকটি কথা বলিয়া এই প্রবন্ধ শেষ করিব । জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রবাসীতে “রত্ন-আদি খনিজ” প্রবন্ধে আমি বলিয়াছিলাম, যে, আমাদের দারিদ্র্যের কারণ ও হেতু সম্পূর্ণভাবে বিদেশী শাসনকৰ্ত্ত ও বিদেশী শিক্ষা নহে । অনেক অংশে ( বোধ হয় অধিকাংশে ) উহ আমাদেরই দোয । অভ্রের ক্ষেত্রে দোষ প্রায় সম্পূর্ণভাবেই আমাদের । অশের খনি বোধ হয় এদেশীয় অধিকারীদিগের হস্তেই অধিক পরিমাণে আছে। বিদেশে অভ্রের চালীন পাঠান, পাট কিম্বা চায়ের মত বিদেশী সমবায়ের একচেটিয়া অধিকার নছে । অভ্রের চাহিদা কিরূপ, তাহা উপরোক্ত মূল্যবৃদ্ধির উদাহরণ হইতুে সম্যক বোঝা যায়। অথচ এদেশীয়দিগের মধ্যে অভ্রের ব্যবসায়ে সেরূপ ধনীর নাম দু-এক
